কোনো আর্টিকেল লেখার ক্ষেত্রে প্রথম ধাপ কোনটি জানুন বিস্তারিত
কোনো আর্টিকেল লেখার ক্ষেত্রে প্রথম ধাপ কোনটি এই বিষয়টি সম্পর্কে জানার জন্য
আমরা বিভিন্ন সময়ে সোশ্যাল মিডিয়া সহ বিভিন্ন প্লাটফর্মের সার্চ ইঞ্জিন গুলোতে
খোঁজাখুজি করে থাকি ৷ কিন্তু সঠিক তথ্য এবং উপাত্ত না পাওয়ার কারণে আমরা হতাশ
হয়ে পড়ি এবং আর্টিকেল লিখে ইনকাম করার বিষয়টি সম্পর্কে আমরা আগ্রহ হারিয়ে
ফেলি । কেননা যদি আপনি সঠিক গাইডলাইন বা ধাপগুলি সম্পর্কে না জানেন তাহলে কোন
বিষয়েই সম্পূর্ণভাবে পরিপূর্ণ করতে পারবেন না ।
তাই আজকে এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে কুমার ডিজিটাল আইটি আপনাদেরকে
কোনো আর্টিকেল লেখার ক্ষেত্রে প্রথম ধাপ কোনটি তার সম্পর্কে এ টু জেড গাইড
প্রদান করবো । উক্ত বিষয়টি বাদে আরও যে সকল বিষয়গুলো সম্পর্কে আপনারা জানতে
চলেছেন, আর্টিকেল কোথায় লিখতে হয় এবং কন্টেন্ট লেখার নিয়ম সম্পর্কে । সুতরাং
নিজেকে একজন ভালো লেখক হিসেবে গড়ে তুলতে এবং আর্টিকেল লেখার বেসিক থেকে শুরু করে
সম্পূর্ণ বিষয়গুলো জানার জন্য অবশ্যই আজকের আর্টিকেলটির শেষ পর্যন্ত থাকুন
।
প্রেজ সূচিপত্রঃ নিচের যে অংশ থেকে পড়তে চান, ক্লিক করুন
- আর্টিকেল এর সংজ্ঞা
- কোনো আর্টিকেল লেখার ক্ষেত্রে প্রথম ধাপ কোনটি
- কনটেন্ট লেখার নিয়ম
- টাইটেল থেকে উপসংহার
- প্রাথমিক ধারণা এবং বিষয় পরিদর্শন
- লেখার ক্যাটাগরি
- যুক্তি প্রমাণ সহকারে তথ্য প্রদান
- ত্রুটি পরিহার এবং সংক্ষেপণ
- পয়েন্ট এর ব্যবহার
- এসইও (SEO) ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লিখন
- আর্টিকেল পাবলিশ এবং অন্যান্য বিষয়
- শেষ কথা
আর্টিকেল এর সংজ্ঞা
সাধারণত আর্টিকেল হল একটি লেখার ধরন । যাতে একটি নির্দিষ্ট বিষয় থাকে এবং যেখানে
সেই বিষয়ের উপর বিভিন্ন রকম তথ্য আলোচনা এবং পর্যালোচনা করা হয়ে থাকে ।
উদাহরণস্বরূপ আপনি যদি কুমার ডিজিটাল আইটি এর অন্য সকল আর্টিকেলগুলো চেক করেন
তাহলে আপনি লক্ষ্য করবেন সেখানে আমরা একটি নির্দিষ্ট বিষয়ের উপর আলোচনা ও
পর্যালোচনা করার মাধ্যমে পাঠকদের বোঝানোর চেষ্টা করে থাকে । মূলত এটিই হলো একটি
আর্টিকেল লেখার মূল উদ্দেশ্য ।
একটি আর্টিকেল যদি পাঠকের কাছে গ্রহণযোগ্যতা না পায় তাহলে সেই আর্টিকেলটির কোন
মূল্য থাকে না এবং পাঠক সেই আর্টিকেলটি পড়তেও আগ্রহবোধ করে না । পাশাপাশি যদি
আপনি আর্টিকেল লিখার মাধ্যমে গুগল এডসেন্স থেকে ইনকাম করতে চান সে ক্ষেত্রে
আপনাকে একটি মানসম্মত এবং সঠিক তথ্য যুক্ত আর্টিকেল লিখতে হবে । যে সমস্ত
আর্টিকেল পাঠক খুব একটা ইনফরমেটিভ মনে করে না সেগুলোকে সার্চ ইঞ্জিনও তেমন
ইম্প্রেশন বা প্রাধান্য প্রদান করে না । যার ফলে পরবর্তীতে ওই আর্টিকেল থেকে আপনি
কোন আশা অনুরূপ ফলাফল পাবেন না ।
তবে আর্টিকেল বিভিন্ন রকম হতে পারে এবং প্রত্যেকটি আর্টিকেল এর বিষয়বস্তু আলাদা
আলাদা টপিক নিয়ে হতে হবে । উদাহরণস্বরূপ বর্তমান ঘটনাবলী সম্পর্কে, কোন একটি
নির্দিষ্ট বিষয়ের উপর ভিত্তি করে, কিছু করার পদ্ধতি সম্পর্কে নির্দেশনা বলি
দিয়ে এবং কন্টেন্ট লেখার নিয়ম অনুযায়ী এ সকল বিষয়ে আর্টিকেল লেখা হয়ে থাকে ।
আসুন আমরা জেনে নেই কোনো আর্টিকেল লেখার ক্ষেত্রে প্রথম ধাপ কোনটি এই
সম্পর্কে জানার জন্য একটি আর্টিকেল এর বৈশিষ্ট্য এবং উদ্দেশ্য সম্পর্কে ।
- আর্টিকেল একটি নির্দিষ্ট বিষয়ের ওপর কেন্দ্রীভূত হয় যা পাঠকের বুঝতে সুবিধা হয় ।
- একটি আর্টিকেল পাঠকদের তথ্য এবং উপাত্ত বিচার বিশ্লেষণ এর মাধ্যমে প্রদান করে ।
- বানান, ব্যাকরণ ও যতি চিহ্নের ব্যবহার একটি আর্টিকেলকে আরো বেশি দৃষ্টিনন্দন ও মনোরঞ্জন করে এবং পাঠকদের পড়তে উৎসাহিত করে ।
- সহজ, সাবলীল ও বোধগম্য ভাষায় লেখা আর্টিকেল পাঠকদের মধ্যে জ্ঞান ও সচেতনতা বৃদ্ধি করে ।
- একটি আর্টিকেলে আকর্ষণীয় শিরোনাম বা টাইটেল ব্যবহার করার ফলে পাঠকের দৃষ্টি আকর্ষণ করে এবং পাঠক শিরোনাম বা টাইটেলটি দেখে খুব সহজে বুঝতে পারে আর্টিকেলটির অভ্যন্তরে কি তথ্য লুকায়িত আছে ।
- আর্টিকেল বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে যেমন, সংবাদপত্র, পত্রিকা, ব্লগ, ওয়েবসাইট, সামাজিক মাধ্যম ও ইত্যাদি ।
- প্রয়োজন অনুসারে একটি আর্টিকেলে ছবি, টেবিল, গ্রাফ ইত্যাদি বিষয়গুলো ইনক্লুড করা হয় যার পরিপ্রেক্ষিতে আর্টিকেলটির মূল বিষয়গুলো পাঠক খুব সহজে বুঝে নেয় ।
কোনো আর্টিকেল লেখার ক্ষেত্রে প্রথম ধাপ কোনটি
একজন দক্ষ এবং পরিশ্রমি আর্টিকেল রাইটারের মূল লক্ষ্য থাকে যেন তার আর্টিকেলে আসা
অনুরূপ ট্রাফিক জেনারেট হয় । আপনারা জানেন যে, পূর্বে শুধুমাত্র পত্র পত্রিকায়
লেখার বিষয়টি সীমাবদ্ধ থাকলেও বর্তমানে সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে আপনি অনলাইনে
আর্টিকেল লিখে এবং সেটি ব্লগার এর মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইটে পাবলিশ করে গুগল
এডসেন্সের মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে পারবেন । যার ফলে বর্তমানে অনেকেই তাদের লেখার
দক্ষতা ব্যবহার করে প্রতি মাসে একটি ভালো এমাউন্টের টাকা ইনকাম করতে পারছে ।
কিন্তু যদি আপনি আর্টিকেল রাইটিং এ দক্ষ হতে চান এবং একটি ভালো মানের আর্টিকেল
লিখতে চান সে ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে কিছু ধাপ বা পদক্ষেপ অবলম্বন করতে হবে ।
উদাহরণস্বরূপ, উপরে উঠতে যেমন সিঁড়ির প্রয়োজন ঠিক তেমনি কিছু ধাপ রয়েছে যেগুলো
যদি আপনি ফলো করেন তাহলে আর্টিকেল লেখার বিষয়ে যেমন ক্রিয়েটিভিটি ফুটে উঠবে
তেমনি বিষয়টি আপনার জন্য সহজ ও বোধগম্য হয়ে যাবে । বাংলা আর্টিকেল কিভাবে
সামঞ্জস্যপূর্ণভাবে লিখতে হয় সে সম্পর্কে আমাদের ওয়েবসাইটে ইতোমধ্যে একটি ব্লক
পোস্ট পাবলিশ করা রয়েছে ।
আপনি চাইলে সেটিও এখানে ক্লিক করে দেখে আসতে পারেন । তবে আমরা
আজকের এই ব্লগ পোস্টটির মাধ্যমে একটি আর্টিকেল লেখার ক্ষেত্রে প্রথম ধাপ বা
প্রাথমিক ধাপ গুলো কি কি সে সম্পর্কে আপনাদের অবগত করার চেষ্টা করব । ধরুন, আমরা
যেমন কোনরকম আগাম প্রস্তুতি ছাড়াই পরীক্ষার হলে যায় না বা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ
করি না ঠিক তেমনি আর্টিকেল লেখার ক্ষেত্রেও একটি প্রস্তুতির প্রয়োজন রয়েছে ।
তাহলে চলুন পর্যায়ক্রমে কোনো আর্টিকেল লেখার ক্ষেত্রে প্রথম ধাপ কোনটি এ বিষয়ে
সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক ।
আর্টিকেল এর জন্য বিষয় নির্বাচন এবং প্রস্তুতি
আর্টিকেল লেখার ক্ষেত্রে প্রথম যে বিষয়টি আসবে সেটি হল আর্টিকেলের জন্য বিষয়
নির্বাচন এবং প্রস্তুতি। আমরা ইতোপূর্বে বলেছি যে পরীক্ষার হলে যাওয়ার পূর্বে
যেমন প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হয় ঠিক একই রকম ভাবে পরীক্ষার হলে যাওয়ার আগে কোন
বিষয়টির উপর পরীক্ষা হবে সেটি নির্ধারণ করে প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হয় । আপনি যদি
একটি আর্টিকেল লিখতে চান সে ক্ষেত্রে আপনার প্রথমত দরকার হবে একটি বিষয় নির্বাচন
যার উপর ভিত্তি করে আপনি আর্টিকেলটি লিখবেন । ধরুন আপনার ট্রাভেলিং বিষয়ে শখ
রয়েছে ।
পাশাপাশি ট্রাভেলিং বিষয়টি নিয়ে আপনি লং টাইম বিভিন্ন ধরনের আর্টিকেল আপনার
ওয়েবসাইটে পাবলিশ করতে পারবেন এরকম মানসিকতাও আপনার রয়েছে । তাহলে বিষয়
নির্বাচনের ক্ষেত্রে আপনি ট্রাভেলিং বিষয়ের আর্টিকেলগুলো সম্পর্কে রিসার্চ করা
শুরু করতে পারেন । এখানে আমরা ট্রাভেলিং বিষয়টি উদাহরণস্বরূপ ধরে নিলাম ।
আপনি আপনার ইচ্ছা অথবা আগ্রহের উপর ভিত্তি করে আর্টিকেল লেখার জন্য যে কোন
বিষয়টি নির্বাচন করবেন এবং সেটি সম্পর্কে সার্চ ইঞ্জিনে আগাম কোন তথ্য ও সূত্র
আছে কিনা তা নিশ্চিত করতে হবে । এ বিষয়গুলো নিচে পয়েন্ট আকারে তুলে ধরা হলো ।
- আপনি আর্টিকেল লেখার জন্য বিভিন্ন বই, জার্নাল, বিভিন্ন ওয়েবসাইট ইত্যাদি থেকে তথ্য সংগ্রহ করতে পারেন ।
- আপনি আর্টিকেল লেখার জন্য যে বিষয়টি নিতে চাচ্ছেন সে বিষয়ে যদি সার্চ ইঞ্জিনে কোন তথ্য এবং সূত্র পাওয়া যায় সে ক্ষেত্রে তা রিসার্চ করুন ।
- সংগৃহীত তথ্যগুলোকে অবশ্যই সুন্দর এবং পরিপাটি ভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে নিতে হবে । এটি আর্টিকেল লেখার ক্ষেত্রে অনেক বড় ভূমিকা পালন করে ।
- আর্টিকেল লিখতে অবশ্যই আপনাকে ধারাবাহিকতা ফলো করতে হবে । যে বিষয়ের উপর আর্টিকেল লিখতে চাচ্ছেন তার বেসিক থেকে শুরু করে অ্যাডভান্স লেভেল পর্যন্ত আর্টিকেলটিকে নিয়ে যেতে যা যা যুক্ত করতে হবে সবগুলোই আর্টিকেলের ভেতর দেওয়ার চেষ্টা করবেন ।
- আর্টিকেল লেখার সময় অবশ্যই আপনার মতামত এবং যুক্তিগুলো স্পষ্ট এবং সত্যতার সহিত উপস্থাপন করতে হবে । এতে করে পাঠকরা আপনার আর্টিকেল পড়তে আগ্রহ প্রকাশ করবে ।
- বানান, ব্যাকরণ ও যতিচিহ্নের ব্যবহারের দিকে যথাযথভাবে নজর দেবেন ।
- লেখা শৈলী পরিপুষ্ট করার জন্য সহজ ভাষাতে, সাবলীলভাবে লিখবেন যেন পাঠক বোধগম্য হতে পারে সে বিষয়ে লক্ষ্য রেখে আর্টিকেল লিখতে হবে । মনে রাখবেন আর্টিকেলটি এমনভাবে লিখবেন যাতে মনে হয় আপনি এবং পাঠক দুজনেই সামনা-সামনি বসে একে অপরের সঙ্গে কথা বলছেন ।
- অবশ্যই আর্টিকেল এর শিরোনামটি হতে হবে আকর্ষণীয় এবং পাঠকের কাছে হতে হবে দৃষ্টিনন্দন যাতে করে পাঠক খুব সহজে বুঝতে পারে যে এই আর্টিকেলটির ভেতরে কি তথ্য দেওয়া আছে ।
- প্রয়োজনে আর্টিকেলের ভেতরে বিভিন্ন ছবি, টেবিল, অথবা গ্রাফ ব্যবহার করে পাঠকদের সুন্দরভাবে বোঝানোর চেষ্টা করতে হবে ।
কনটেন্ট লেখার নিয়ম
আমরা আজকে এই ব্লগ পোস্টটির মাধ্যমে কোনো আর্টিকেল লেখার ক্ষেত্রে প্রথম ধাপ
কোনটি এ বিষয়টি সম্পর্কে জানানোর জন্য কিছু বেসিক ধারণা আপনাদের সামনে পেশ করেছি
। আপনি উপরের অংশটি মনোযোগ সহকারে পড়লে দেখবেন সেখানে আর্টিকেল লেখার জন্য প্রথম
অবস্থায় কি কি বিষয় মাথায় রাখতে হবে, কি কি ধাপ অবলম্বন করতে হবে সে সম্পর্কে
আমরা আলোচনা করেছি । সাধারণত আর্টিকেল হলো একটি কন্টেন্ট ।
মূলত কনটেন্ট হলো কোন একটি বিষয়ের ভিত্তি বা যোগান । যা আমাদের সে বিষয়টি
সম্পর্কে জানতে সহায়তা করে । আপনি যদি ইউটিউব এর কথা চিন্তা করেন তাহলে সেখানে
ভিডিও হলো ইউটিউব এর কনটেন্ট । অনুরূপভাবে ফেসবুকের ক্ষেত্রে ঠিক একই বিষয়
দাঁড়াবে। ফেসবুকের ক্ষেত্রে ফেসবুকের ভিডিওই হলো কনটেন্ট । এখন যদি আপনি একটি
ব্লগ ওয়েবসাইটের কথা ভাবেন তাহলে একটি ব্লগ ওয়েবসাইটের যে আর্টিকেল রয়েছে সেটি
মূলত কনটেন্ট ।
ইংরেজিতে একটি প্রবাদ রয়েছে “Content is King” । আপনি যে সেক্টরে কাজ করুন না
কেন কনটেন্ট লেখার নিয়ম যদি সঠিক না হয় সেক্ষেত্রে ওই সেক্টরে আপনি ভাল কোন
ফলাফল আশা করতে পারবেন না । ইউটিউব এর ক্ষেত্রে যেমন কোয়ালিটি ফুল ভিডিও আপলোড
না করা হলে ভালো ভিউ আসবে না । ঠিক তেমনি আপনি যদি কনটেন্ট লেখার নিয়ম অনুযায়ী
কন্টেন্ট না লিখেন তাহলে এখানেও কাঙ্খিত ফলাফল পাবেন না ।
আমরা সব সময় চেষ্টা করি আমাদের আর্টিকেলে তথ্যসমৃদ্ধ বিষয়গুলো ইনক্লুড করার আর
এটি মূলত কনটেন্টের শক্তি বৃদ্ধি করে । পাশাপাশি কনটেন্টে যদি একটি সুন্দর টাইটেল
দিয়ে তথ্যসমৃদ্ধ একটি আর্টিকেল পাবলিশ করা হয় সে ক্ষেত্রে ভিজিটর আসতে বাধ্য ।
যেমন আপনি এই মুহূর্তে যে আর্টিকেলটি পড়ছেন অবশ্যই আর্টিকেলটির টাইটেল বা
শিরোনাম আপনার কাছে উপযুক্ত মনে হয়েছে । যার ফলে আপনি কেবলমাত্র আমাদের ব্লগ
ওয়েবসাইটে প্রবেশ করেছেন ।
তাহলে চলুন এবার কোনো আর্টিকেল লেখার ক্ষেত্রে প্রথম ধাপ কোনটি এ বিষয়টি
জানার পাশাপাশি কন্টেন্ট লেখার কিছু নিয়ম সম্পর্কে অবগত হওয়া যাক ।
টাইটেল থেকে উপসংহার
আপনারা ইতিমধ্যে অবশ্যই জানতে পেরেছেন একটি আর্টিকেল লেখার ক্ষেত্রে টাইটেল কতটা
গুরুত্ব বহন করে । একটি আর্টিকেলের টাইটেল থেকে শুরু করে উপসংহার পর্যন্ত আপনাকে
সঠিক তথ্য এবং সত্যতার সহিত অবশ্যই স্পষ্ট আকারে লিখতে হবে । একটি আর্টিকেলের
তথ্যগুলো যদি আপনি অগোছালোভাবে পেশ করেন সে ক্ষেত্রে পাঠক এর কাছে বিষয়গুলো
বুঝতে অনেকটা অসুবিধা এবং সময় সাপেক্ষ হবে এতে আর্টিকেলের মানটি ক্ষুন্ন হবে
।
সুতরাং বুঝতেই পারছেন যে লেখার শুরুতেই আপনাকে নির্বাচন করা বিষয়ের তথ্য গুলো
এমনভাবে উপস্থাপন করতে হবে যাতে করে সহজে পাঠক তা বুঝতে পারে ।আর্টিকেলের
শিরোনামের চার থেকে পাঁচ লাইনের মধ্যেই আর্টিকেলের তথ্যগুলো পেশ করুন । পরিশেষে
যখন উপসংহার লিখবেন ঠিক তখনও একটি মতবাদ দিয়ে দিতে হবে যেন পাঠক তাতে উপকৃত হয়
।
প্রাথমিক ধারণা এবং বিষয় পরিদর্শন
আর্টিকেলের শুরুর অংশে যেমন পাঠক আর্টিকেলটি সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা পেয়ে যাবে
। ঠিক তেমনি পুরো আর্টিকেলটি পড়ার সময় প্রত্যেকটি অনুচ্ছেদে প্রধান বিষয়গুলো
ইনপুট করতে হবে যাতে করে যে বিষয় সম্পর্কে পাঠক জানতে চাচ্ছে সেটির যেন কমতি না
থাকে । আর্টিকেল লেখার ক্ষেত্রে প্রত্যেকটি প্যারাতে আপনাকে সঠিক সঠিক ইনফরমেশন
গুলো ব্যবহার করতে হবে এতে করে আপনার আর্টিকেলটি হয়ে উঠবে আরো আকর্ষণীয় এবং
প্রাণবন্ত ।
লেখার ক্যাটাগরি
কোন আর্টিকেল লেখার ক্ষেত্রে প্রথম ধাপ কোনটি এই বিষয়টিতে লেখার ক্যাটাগরি ফলো
করা অতি জরুরী । সহজ ভাষাতে, স্পষ্টভাবে আর্টিকেলের প্রত্যেকটি বিষয় ফুটিয়ে
তুলতে হবে যাতে করে লেখার মধ্যে ধারণা প্রকাশ করা যায় । প্রত্যেকটি লেখার
অভ্যন্তরে লেখার ধারণা এবং প্রমাণসহ কিছু বিষয় উপস্থাপন করার চেষ্টা করুন । একটা
জিনিস সব সময় মাথায় রাখবেন আপনার লেখা যত পরিপূর্ণ ও স্বাভাবিক হবে আর্টিকেলটি
ঠিক তত বেশি মানসম্মত ও পাঠকের কাছে আনন্দদায়ক হবে ।
যুক্তি প্রমাণ সহকারে তথ্য প্রদান
অবশ্যই যুক্তি প্রমাণ সহকারে এবং সত্যতার সহিত আর্টিকেল লেখার জন্য বিষয়
নির্ধারণ করার চেষ্টা করবেন । সঠিক একটি বিষয় নির্ধারণ করার পর আপনি যে
বিষয়টিতে আর্টিকেল লিখছেন লেখার সাথে অবশ্যই সঠিক প্রমাণ যুক্ত করবেন । অবশ্যই
সঠিক এবং তথ্যবহুল বিষয়গুলো আর্টিকেলে ইনপুট করতে হবে যাতে করে পাঠক আর্টিকেলটি
পড়ার মাধ্যমে উপকৃত হয় । লেখার সঙ্গে যুক্তি প্রমাণ দিয়ে দিলে পাঠকদের কাছে
যেমন বিষয়টি সত্য বলে মনে হবে তেমনি পড়ার প্রতি আগ্রহ বারবে ।
ত্রুটি পরিহার এবং সংক্ষেপণ
কনটেন্ট লেখার নিয়ম অনুযায়ী একজন আর্টিকেল রাইটারের আরও একটি বড় দায়িত্ব হল
লেখা শেষে সেটি আরেকবার যাচাই-বাছাই করা । আর্টিকেলটি রিভিশন এর মাধ্যমে আপনি
অবশ্যই বুঝতে পারবেন কোথায় ভুল ত্রুটি হয়েছে । যেগুলো পরিশোধন করার মাধ্যমে
আপনি পুনরায় এডিট করে দিবেন । সুতরাং বুঝতে পারছেন যে ত্রুটি পরিহার করে সংক্ষেপ
আকারে বিষয়গুলো লিখতে হবে যেন পাঠক ত্রুটিমুক্ত একটি আর্টিকেল পড়তে পারে এবং
উপকৃত হতে পারে ।
অনেক সময় আর্টিকেল লেখার সময় বানান ভুল যায় বা অন্যান্য যে সমস্যা গুলো রয়েছে
যেমন দাড়ি ( ৷ ) কমা ( , ) দিতে ভুলে যাওয়া এই ধরনের সমস্যা হতে পারে । একটি
বানান ভুল পাঠকএর ভেতরে পড়ার সময় বিরক্তি নিয়ে আসতে পারে । তাই অবশ্যই ত্রুটি
পরিহার যুক্ত এবং সংক্ষেপণ করার বিষয়ে একজন আর্টিকেল রাইটারকে সচেতন হওয়া দরকার
।
পয়েন্ট এর ব্যবহার
আর্টিকেলে পয়েন্ট ব্যবহার করার বিষয়টি যেন আর্টিকেলকে আরো এক ধাপ সামনের দিকে
এগিয়ে নিয়ে যায় । আপনার লিখিত আর্টিকেলটির ভিতর গুরুত্বপূর্ণ যে সকল বিষয়
সমূহ রয়েছে সেগুলো পয়েন্ট আকারে তুলে ধরার চেষ্টা করুন । এতে করে পয়েন্ট আকারে
যে বিষয়গুলো তুলে ধরা হয় সেগুলোতে পাঠকের নজর সবচেয়ে বেশি পড়ে । আর আপনি যদি
গুরুত্বপূর্ণ সে বিষয়গুলো পয়েন্ট আকারে দিয়ে দেন তাহলে পাঠক সে বিষয়টি সহজেই
খুঁজে পাবে এবং তার ভেতরে বিষয়টি পড়ার আগ্রহ তৈরি হবে ।
তবে পয়েন্ট দেওয়ার সময় অবশ্যই যথার্থ ধারণা বা উপস্থাপনার সহিত তথ্যসমৃদ্ধ
বিষয়গুলোকে পয়েন্ট আকারে তুলে ধরতে হবে । অবশ্যই সঠিক এবং যুক্তিযুক্ত
কথাবার্তা গুলো পয়েন্ট আকারে তুলে ধরুন যাতে করে পাঠক বিষয়গুলোকে তথ্যসমৃদ্ধ
মনে করে ।
এসইও (SEO) ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লিখন
যদি আপনারা এসইও (SEO) বিষয়টি সম্পর্কে অবগত না থাকেন তাহলে এসিও কি এবং
একটি আর্টিকেল লেখার ক্ষেত্রে ভূমিকা কি এ সম্পর্কে জানার জন্য
এখানে ক্লিক করে আমাদের ওয়েবসাইট থেকে দেখে আসতে পারেন । SEO
এর ফুল ফর্ম হলো ( সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন ) । এসইও সাধারণত আর্টিকেলকে রেংক
করানোর জন্য সাহায্য করে । এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লেখা বিষয়টি আসলে অন
পেজ এসইও এর অনুরূপ । আপনি যতই তথ্যসমৃদ্ধ আর্টিকেল পাবলিশ করুন না কেন সেখানে
যদি অন পেজ এসইও (On Page SEO) বা ফ্রেন্ডলি এসইও আর্টিকেল না লেখা হয় তাহলে
সেটি কখনোই গুগলে র্যাঙ্ক করবে না ।
ফ্রেন্ডলি এসইও বা অন পেজ এসইও বিষয়টি হল আপনি আপনার আর্টিকেলের যে ফোকাস কি
ওয়ার্ডগুলো ব্যবহার করেছেন সেটি সামঞ্জস্যপূর্ণভাবে কমপক্ষে ১২ থেকে ১৫ বার
আর্টিকেলের মধ্যে সংযুক্ত রাখতে হবে । এর পাশাপাশি টাইটেল, ট্যাগ, বিষয়বস্তুর
সাথে যেন তথ্যের মিল থাকে সেগুলো নিশ্চিত করতে হবে । আসুন কোনো আর্টিকেল লেখার
ক্ষেত্রে প্রথম ধাপ কোনটি এবং কনটেন্ট লেখার নিয়ম এই বিষয়গুলোর পাশাপাশি এসইও
ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লিখার বিষয়গুলো পয়েন্ট আকারে জেনে নেওয়া যাক।
- অবশ্যই একটি এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লেখার জন্য সর্বপ্রথমে একটি ভালো মানের কিওয়ার্ড রিসার্চ করা জানতে হবে । বিশেষ করে কিওয়ার্ড রিসার্চ করার জন্য Google Keyword Planner, Keyword Generator, Ahrefs এই সমস্ত কিওয়ার্ড টুলস সম্পর্কে এ টু জেড ধারণা থাকতে হবে।
- একটি এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লেখার ক্ষেত্রে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বহনকারী বিষয় হলো টাইটেল নির্বাচন এবং মেটা ডিসক্রিপশন । অবশ্যই টাইটেলটি আকর্ষণীয় হতে হবে পাশাপাশি মেটা ডেসক্রিপশনে উক্ত আর্টিকেলের বিষয়বস্তুর সারমর্ম খুব ভালোভাবে ফুটিয়ে তুলতে হবে বা লিখতে হবে ।
- আপনি যদি আর্টিকেলকে একটি এসিও ফ্রেন্ডলি আর গুগল রেংক এর অন্তর্ভুক্ত করতে চান তাহলে অবশ্যই সামঞ্জস্যপূর্ণভাবে ফোকাস কিওয়ার্ড পুরো আর্টিকেল এর ভেতরে সর্বনিম্ন ১২ থেকে সর্বোচ্চ ১৫ বার যুক্ত করতে হবে ।
- গুগল র্যাংকিং এর ক্ষেত্রে বা এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল এর ক্ষেত্রে আরো একটি জরুরি বিষয় হলো ফোকাস কিওয়ার্ড এর পাশাপাশি সেকেন্ডারি ফোকাস কিওয়ার্ড এর যথাযথ ব্যবহার করা । একটি আর্টিকেলে অবশ্যই সর্বনিম্ন ৬ থেকে সর্বোচ্চ ৮ বার সেকেন্ডারি ফোকাস কিওয়ার্ড ব্যবহার করতে হবে ।
- একটি আর্টিকেলকে আরো সুন্দর এবং আকর্ষণীয় করে তোলে আর্টিকেলটির সূচিপত্র । আপনি যে বিষয়ে আর্টিকেল রচনা করলেন তার একটি সূচিপত্র তৈরি করুন । যাতে করে পাঠক আর্টিকেলের কোন বিষয়টি পাঠ করতে চাচ্ছে পাঠক সহজে তার তথ্যগুলো খুঁজে পায় ।
আর্টিকেল পাবলিশ এবং অন্যান্য বিষয়
আর্টিকেল লেখা থেকে শুরু করে পাবলিশ করা পর্যন্ত অবশ্যই আপনাকে অনেকগুলো ধাপ পার
হতে হবে। আপনি উপরের অংশগুলোতে অবশ্যই লক্ষ্য করেছেন যে কোনো আর্টিকেল লেখার
ক্ষেত্রে প্রথম ধাপ কোনটি অর্থাৎ বেসিক বা প্রাথমিক যে বিষয়গুলো । সেই বিষয়গুলো
ধাপে ধাপে পার করার পর একটি আর্টিকেল পাবলিশ করার ক্ষেত্রে আরো অন্যান্য কিছু
বিষয় রয়েছে । এ সকল বিষয় বা নিয়মগুলো না জানলে বা আপনার আর্টিকেলের মধ্যে
এপ্লাই না করলে আপনার আর্টিকেল টি পরিপূর্ণতা লাভ করবে না এবং গুগল সার্চ লিস্টেও
আপনার আর্টিকেলটি রাঙ্ক করবে না ।
তাহলে আজ একটি বিষয় ক্লিয়ার হয়ে গেল । যে আপনি যদি একটি সঠিক মানসম্মত
আর্টিকেল লেখার ক্ষেত্রে পারদর্শী হন তাহলে এর পরের বিষয়টি আসবে
এসইও সহকারে আর্টিকেল লেখার বিষয় । সবশেষে আর্টিকেল পাবলিশ করার ক্ষেত্রেও
আরো কিছু বিষয় ও নিয়ম-কানুন জানতে হবে যার পরিপ্রেক্ষিতে কেবলমাত্র আপনি একজন
দক্ষ আর্টিকেল রাইটার হিসেবে একটি ভালো মানের আর্টিকেল পাঠকের সামনে তুলে ধরতে
পারবেন । তাহলে চলুন দেরি না করে আর্টিকেল পাবলিশ এর জন্য কনটেন্ট লেখার নিয়মের
পাশাপাশি অন্যান্য যে সকল বিষয়বস্তু রয়েছে সেগুলো সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক ।
- আর্টিকেল পাবলিশ করার সময় লেখার মাধ্যমে ভালো বিষয়বস্তু তুলে ধরার সঙ্গে সঙ্গে একটি ভাল মানের ফিচার ইমেজ আর্টিকেলে যুক্ত করতে হবে । একটি ফিচার ইমেজ আর্টিকেলের বিষয়বস্তুগুলোকে পাঠকের সামনে আরো আকর্ষণীয়, দৃষ্টিনন্দন এবং প্রাণবন্ত করে তোলে ।
- পাঠকদের বোঝানোর ক্ষেত্রে এবং আর্টিকেলে তথ্য ইনপুট করার পরিপ্রেক্ষিতে এবং আর্টিকেলের সত্যতা পাঠকের সামনে তুলে ধরার জন্য অবশ্যই স্কিনশট ব্যবহার করতে পারেন । যাতে করে দর্শক খুব সহজেই তথ্যগুলো বুঝে নিতে পারেন ।
- আর্টিকেলের ভেতরে ফিচার ইমেজ যুক্ত করার সময় বা অন্যান্য ইমেজ যুক্ত করার সময় নিজে তৈরি করেছেন এরকম ধরনের ইমেজ ব্যবহার করুন অর্থাৎ ক্যানভা, ফটোশপ বা এ আই জেনারেটর টুলস ব্যবহার করে তৈরিকৃত ইমেজ আপলোড করার চেষ্টা করুন আপনার আর্টিকেলের ভেতরে । কারণ ওই ধরনের ইমেজ ব্যবহার করা যাবে না যেই ইমেজগুলো ব্যবহার করলে আপনার ব্লগ ওয়েবসাইটে কপিরাইট ক্লেম আসে ।
- অবশ্যই আর্টিকেল পাবলিশ করার ক্ষেত্রে প্রত্যেকটি হেডিং এর প্যারাতে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ গ্যাপ রাখুন । এতে করে আর্টিকেলটি দেখতে সুন্দর হয় এবং পাঠকদের পড়তে একঘেয়েমি মনে হয় না । সর্বনিম্ন ৪.৫ লাইন থেকে সর্বোচ্চ ৫ লাইনের উপরে হয়ে গেলে ওই প্যারাটিতে একটি গ্যাপ দিয়ে দিন তাহলে পাঠকদের পড়তে সুবিধা হবে ।
- আর্টিকেল লেখার পর আপনি অবশ্যই আর একবার ভালোভাবে পড়ে নিয়ে চেক করুন যে আর্টিকেলে কোন রকম বানান ভুল সংক্রান্ত এবং (া) আকার, (ে) একার, ও (৷) দাড়ি, (,) কমা সংক্রান্ত ত্রুটি রয়েছে কিনা ।
- অবশ্যই আর্টিকেল লেখার পর জাস্টিফাই অ্যালাইনমেন্ট ব্যবহার করুন । এতে করে আর্টিকেলে প্রত্যেকটি আকাবাকা লাইন সোজা হয়ে যাবে এবং আর্টিকেলটি একটি বইয়ের পৃষ্ঠার মতো দেখাবে । এতে করে পাঠকের পড়ার প্রতি আগ্রহ বেড়ে যাবে ।
- একটি আর্টিকেলের সাথে অন্য আরেকটি আর্টিকেলের সংযোগ স্থাপনের জন্য আরো পড়ুন সেকশন যুক্ত করতে পারেন ।
- আর্টিকেলের অভ্যন্তরে এক্সটার্নাল এবং ইন্টার্নাল লিংকিং করে দেবেন এতে করে আপনার আর্টিকেলটি গুগল সার্চ লিস্টে রেংক করতে সহজ হয়ে যাবে ।
- সবশেষে সঠিকভাবে আরও একবার রিভিশন করে নিয়ে, শেষ কথা যুক্ত করে আপনার আর্টিকেলটি সরাসরি পাবলিশ না করে শিডিউল করে দিন শিডিউল করলে আর্টিকেলে ইম্প্রেশন পাবার সম্ভাবনা বেশি থাকে ।
শেষ কথা
প্রিয় বন্ধুগণ আমরা আজকে এই আর্টিকেলটির একদম শেষ পর্যায়ে চলে এসেছি । এবং
শেষ পর্যায়ে এসে একটি কথাই বলতে চাই সেটি হল যদি আপনি আর্টিকেল লিখে
google
এডসেন্স এর মাধ্যমে ইনকাম করতে চান সে ক্ষেত্রে অবশ্যই ধৈর্য সহকারে এবং ধাপে
ধাপে কাজ করে যেতে হবে । এই মুহূর্তে আপনি যে আমাদের লিখিত আর্টিকেলটি পড়ছেন
এখানে আমরা কোনো আর্টিকেল লেখার ক্ষেত্রে প্রথম ধাপ কোনটি সেই বিষয়ে
আলোচনা করেছি । পাশাপাশি একটি সুন্দর কনটেন্ট লেখার নিয়ম সংক্রান্ত বিষয়াবলী
আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি ।
আমি আশা করি আপনারা সঠিক তথ্যগুলো পেয়েছেন এবং আপনারা যদি আর্টিকেল লিখে গুগল
এডসেন্সের মাধ্যমে ইনকাম করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন সে ক্ষেত্রে উক্ত তথ্যগুলো
অবশ্যই আপনাদের কাজে আসবে। আর্টিকেল রাইটিং এর মাধ্যমে ইনকাম বা ফ্রিল্যান্সিং
এর মাধ্যমে ইনকাম বা ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে ইনকাম করার সকল বিষয়গুলো
আমরা ব্লগ পোস্টের মাধ্যমে আমাদের ওয়েবসাইটে পাবলিশ করি ।
আপনি চাইলে আমাদের ওয়েবসাইটটি ঘুরে দেখতে পারেন । আজকের এই বিষয়বস্তু
সম্পর্কে কমেন্ট বক্সে আপনার মূল্যবান মন্তব্য করতে ভুলবেন না এবং এই পোস্টটি
আপনার বন্ধুদের কাছে শেয়ার করবেন যাতে তারা কনটেন্ট লেখার নিয়মগুলো সম্পর্কে
জানতে পারে এবং আর্টিকেল লিখে ইনকাম করার প্রতি আগ্রহ প্রকাশ করে ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url