১০ টি তুলসী পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় বন্ধুরা আজকে আমি আপনাদেরকে যে জিনিসটি জানানোর জন্য
এসেছি তা হলো তুলসী পাতা খাওয়ার নিয়ম ও তুলসী পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা
সম্পর্কে ৷ তো আপনারা যারা তুলসী পাতার ব্যবহার , তুলসী পাতা খাওয়ার নিয়ম এবং
তুলসী পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানেন না আজকের আর্টিকেলটি তাদের জন্য
৷
আপনারা অনেকে জেনে থাকবেন যে তুলসী হচ্ছে একটি ঔষধি বৃক্ষ ৷ যার রয়েছে অনেক ঔষধি
গুণ ৷ তুলসী পাতার রস অনেক রোগ নিরাময়ে সাহায্য করে ৷ আজকের এই আর্টিকেলের
মাধ্যমে আপনারা বিভিন্ন রোগে তুলসী পাতার ব্যবহার, তুলসী পাতা খাওয়ার নিয়ম এবং
তুলসী পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা ছাড়াও যে সকল বিষয়গুলি সম্পর্কে জানতে
পারবেনঃ কয়েকটি তুলসী পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা, তুলসী পাতার রসের উপকারিতা , কাশির জন্য তুলসী পাতা খাওয়ার নিয়ম, খালি পেটে তুলসী পাতা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা, শিশুদের তুলসী পাতা খাওয়ার নিয়ম, মধু ও তুলসী পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা , তুলসী পাতা চিবিয়ে খেলে কি হয় , তুলসী পাতার চা এর উপকারিতা, ও ৬ মাসের শিশুকে তুলসী পাতার রস খাওয়ানো যাবে কি? ৷ এই সব কিছু সম্পর্কে জানার জন্য আর্টিকেলটির শেষ পর্যন্ত থাকুন ৷
প্রেজ সূচিপত্রঃ নিচের যে অংশ থেকে পড়তে চান, ক্লিক করুন
- তুলসী পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা
- কয়েকটি তুলসী পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা
- সর্দি কাশি কমিয়ে দেয়
- গলা ব্যথা দূর করে
- ক্যান্সার প্রতিরোধ করে
- ডায়াবেটিস দূরে রাখে
- ওজন কমায়
- গর্ভাবস্থা বা স্তন্যপান করানোর সময়
- মানসিক চাপ কমায়
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
- তুলসী পাতার রসের উপকারিতা
- কাশির জন্য তুলসী পাতা খাওয়ার নিয়ম
- খালি পেটে তুলসী পাতা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
- তুলসী পাতা চিবিয়ে খেলে কি হয়?
- শিশুদের তুলসী পাতা খাওয়ার নিয়ম
- শিশুকে তুলসী পাতা খাওয়াবেন যেভাবে
- ৬ মাসের শিশুকে তুলসী পাতার রস খাওয়ানো যাবে কি?
- মধু ও তুলসী পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা
- তুলসী পাতার চা এর উপকারিতা
- তুলসী পাতার ক্ষতিকর দিক
- আমাদের শেষ কথা
তুলসী পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা
তুলসী পাতা একটি উপকারী ঔষধি বৃক্ষ , এ কথা প্রায়ই কমবেশি সবারই জানা ৷ কিন্তু
তুলসী পাতা খেলে কোন উপকার গুলো পাওয়া যায় সে কথা অনেকেরই অজানা ৷ ঔষধি বৃক্ষ
হিসেবে তুলসী পাতার ব্যবহার অনেক আগে থেকেই হয়ে আসছে ৷ এই পাতায় রয়েছে
অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি ও অ্যান্টি অক্সিডেন্ট জাতীয় উপাদান ৷ যা মারাত্মক সব রোগ
যেমন ক্যান্সার ডায়াবেটিস হৃদরোগ ইত্যাদির সঙ্গে লড়াই করতে সক্ষম ৷ এছাড়া সর্দি-কাশি
জনিত সমস্যায়ও তুলসী পাতার রস বেশ উপকারী ঔষধি ৷
কয়েকটি তুলসী পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা
- সর্দি কাশি কমিয়ে দেয়
- গলা ব্যথা দূর করে
- ক্যান্সার প্রতিরোধ করে
- ডায়াবেটিস দূরে রাখে
- ওজন কমায়
- গর্ভাবস্থা বা স্তন্যপান করানোর সময়
- মানসিক চাপ কমায়
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
সর্দি কাশি কমিয়ে দেয়
শীতের দিনে এটি খুব পরিচিত একটি চিত্র যে , ঠান্ডা জনিত সমস্যা দেখা দিবেই ৷
শীতের দিনে ঠান্ডা লাগলে বা সর্দি - কাশি জনিত সমস্যা দেখা দিলে তুলসী পাতা
খাওয়া হয় ওষুধ হিসেবে ৷ কারো বুকে কফ বসে গেলে তাকে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে
তুলসী পাতা আদা ও চা পাতা দিয়ে ফুটিয়ে চা করে খেতে পারলে তা ভালো হয় ৷ এতে তুলসী পাতার এই উপকরণটি সর্দি কাশি কমিয়ে দেয় এছাড়া
প্রতিদিন সকালে খালি পেটে তুলসী পাতার রস ও মধু মিশিয়ে খেলে দ্রুত উপশম মিলবে ৷
গলা ব্যথা দূর করে
আপনি যদি গলা ব্যথা জনিত সমস্যায় ভোগেন তাহলে আস্থা রাখতে পারেন তুলসী পাতার উপর
৷ কারণ এই সমস্যা দূর করতে তুলসী পাতার জুড়ি মেলা ভার ৷ আপনার যদি শ্বাসকষ্টের
সমস্যা থেকে থাকে তাহলে সে সমস্যা দূর করতে তুলসী পাতা বেশ উপকারী একটি ঔষধি ৷
কয়েকটি তুলসী পাতা এরপর তুলসী পাতা গুলি গরম পানিতে ফুটিয়ে সেই পানি দিয়ে
গার্গল করলে গলা ব্যথা দ্রুত নির্মূল হয় ৷
ক্যান্সার প্রতিরোধ করে
ক্যান্সার মূলত এক মরণঘাতি অসুখের নাম ৷ এই অসুখ থেকে আমাদের শরীরকে দূরে রাখতে
সাহায্য করে তুলসী পাতা ৷ এই পাতায় রয়েছে রেডিও প্রটেকটিভ উপাদান যা টিউমারের
কোষগুলোকে খুব দ্রুত মেরে ফেলে ৷ এছাড়াও এতে আরো যে সকল উপাদান রয়েছে
পাইটোকেমিক্যাল , মাইরেটিনাল , লিউটিউলিন এবং এপিজেনিন ৷ এ সকল উপাদান
ক্যান্সারের বিরুদ্ধে কাজ করতে বেশ কার্যকরী ৷
ওজন কমায়
তুলসী পাতা সেবনে রক্তে সুগারের মাত্রা ও কোলেস্টেরল দুটোই রোধ করে ৷ যার ফলে
শরীরের ওজন রাখা যায় নিয়ন্ত্রণে ৷ সাম্প্রতিক এক গবেষণার মাধ্যমে উঠে এসেছে যে
, তুলসী পাতা দিয়ে তৈরি ২৫০ মিলিগ্রামের একটি ক্যাপসুল প্রতিদিন খাওয়ার ফলে
নিয়ন্ত্রণ করা যায় ওবেসিটি ও লিপিড প্রোফাইল ৷ তবে যেকোনো ওষুধ সেবনের পূর্বে
চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া অত্যন্ত জরুরী ৷
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে
তুলসী মূলত ঔষধি বৃক্ষ ৷ তুলসী পাতা ডায়াবেটিস রোগের ইনসুলিন উৎপাদনের কাজ করে ৷
প্রতিদিন সকালে খাবার পূর্বে তুলসী পাতা খেলে রক্তে সুগারের পরিমাণ কমে ৷ তুলশিতে
থাকা স্যাপোনিন, ত্রিতারপিনিন ও ফ্ল্যাবোনয়েড ডায়াবেটিস রোধ করতে বেশ কার্যকরী ৷
গর্ভাবস্থা বা স্তন্যপান করানোর সময়
সামান্য তুলসী পাতা সেবন ক্ষতিকর নয় তবে অতিরিক্ত তুলসী পাতা খেলে নানা রকম
জটিলতা দেখা দিতে পারে ৷ তাই এই সময় গুলোতে তুলসী পাতা এড়িয়ে চলায় উত্তম ৷
অতিরিক্ত তুলসী পাতা খেলে তা নারীর ক্ষেত্রে দেখা দিতে পারে বোদ্ধের কারণ হিসেবে
৷ তাই পরিমিত গ্রহণ করায় উত্তম ৷
মানসিক চাপ কমায়
তুলসী পাতায় রয়েছে ভিটামিন সি এবং অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ৷ যা আমাদের মানসিক চাপ
কমাতে সহায়তা করে ৷ আবার নিয়মিত তুলসী পাতা খেলে আমাদের শরীরের কারটি সেল
মাত্রা অনেক কমে যায় এবং মানসিক চাপ থেকে পুরোপুরি মুক্তি পাওয়া যায় ৷ সুতরাং
মানসিক চাপ কমাতে তুলসী পাতা সেবন করতে পারেন ৷
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
তুলসী পাতা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সক্ষম ৷ অ্যাজমা , ফুসফুসের সমস্যা ,
ব্রঙ্কাইটিস ইত্যাদি সমস্যা মোকাবিলায় কাজ করে এই তুলসী ৷ জ্বর এবং
সর্দি-কাশিতেও তুলসী পাতা সমান উপকারী ৷ সামান্য কয়েকটা তুলসী পাতা ও এলাচ
পানিতে ফুটিয়ে সেই পানি পান করলে খুব সহজেই মেলে রোগ থেকে মুক্তি ৷ যদি
ক্ষতস্থানে তুলসী পাতা বেটে লাগানো যায় তাহলে তা অতি দ্রুত শুকায়।
তুলসী পাতার রসের উপকারিতা
জ্বর সর্দি ও কাশি জনিত সমস্যা হলে তুলসী পাতার রস খেলে রোগগুলো দ্রুত নিরাময়
হয়ে থাকে ৷ জ্বর নিরাময়ে কয়েকটি তুলসী পাতা + এলাচ গরম পানিতে ফুটিয়ে নিয়ে
পান করলে জ্বর ভালো হয়ে যায় ৷ এছাড়াও কাশি নিরাময়ের জন্য তুলসী পাতার রস বেশ
উপকারী ৷ প্রতিদিন সকালে খালি পেটে তুলসী পাতা , মধু ও আদার রস মিশিয়ে পান করলে
কাশি ভালো হয় ৷
কাশির জন্য তুলসী পাতা খাওয়ার নিয়ম
কাশি হলে যে কোন ওষুধের চেয়ে দ্রুত কার্যকরী হলো তুলসী পাতা ও মধু ৷ শিশু থেকে
শুরু করে যে কোন বয়সের মানুষের ঠান্ডা সর্দি - কাশি জনিত সমস্যার ক্ষেত্রে
তুলসীপাতা একটি মহৌষধ ৷ বাচ্চাদের যদি সর্দি - কাশি থাকে তবে আধা চা - চামচ মধুর
সঙ্গে তুলসী পাতার রস মিশিয়ে খাওয়ালে কাশি কমে যাবে এবং উপকার মিলবে ৷
বুকে কফ বসে গেলে সকালবেলা এক গ্লাস গরম পানিতে তুলসী পাতা , আদা ও চা পাতা ভালো
করে ফুটিয়ে তাতে লেবুর রস মিশিয়ে পান করুন এতে বেশ আরাম পাবেন ৷ এর প্রমাণ
মিলেছে বিভিন্ন গবেষণায়ও ৷ শুকনো কাশি এবং ফাঁপা কাশির জন্য তুলরসের মিশ্রণ বেশ
উপকারী ৷ তবে শুকনো কাশি এবং ফাঁপা কাস এর মধ্যে রয়েছে পার্থক্য ৷ সকালে ঘুম
থেকে উঠে তুলসী পাতার রস খেলে অনেক উপকার পাওয়া যায় , বিশেষত বাচ্চাদের ৷
এছাড়া বড়রা তুলসী পাতার চা বা তুলসী পাতা সালাদের সঙ্গেও মিশিয়ে খেতে পারেন ৷
খালি পেটে তুলসী পাতা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
তুলসীতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ফ্রী র্যাডিক্যালের প্রভাব কমায় ৷
প্রতিদিন সকালে খালি পেটে তুলসী পাতার রস সেবন ক্যান্সার প্রতিরোধে বেশ কার্যকরী
৷ প্রতিদিন খালি পেটে তুলসির ভেজানো জল পান করলে সর্দি কাশির ঝুঁকি কমে যায় ৷
তুলসীর জল পানে মন শান্ত থাকে এবং মানসিক চাপ দূর হয় যার ফলে দুশ্চিন্তা কমে
যায় ৷
এছাড়াও তুলসীর জল কোষ্ঠকাঠিন্য , এসিডিটির মতো সমস্যা দূর করে এবং হজম শক্তি
ভালো রাখে ৷ এছাড়াও প্রতিদিন সকালে তুলসী পাতার রস সেবনে হার্ট অ্যাটাকের মত বড়
ধরনের রোগ থেকে মেলে মুক্তি ৷ এছাড়াও তুলসীর রস সেবনে উচ্চ রক্তচাপ থাকে
নিয়ন্ত্রণে ৷
তুলসী পাতা চিবিয়ে খেলে কি হয়?
তুলসী পাতায় উপস্থিত এন্টিঅক্সিডেন্ট এবং এন্টিবায়োটিক গুণাবলী শরীরের রোগ
প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে ৷ তুলসী পাতা চিবিয়ে খেলে কি হয়? আপনি যদি
প্রতিদিন সকালে তুলসী পাতা চিবিয়ে খাওয়ার অভ্যাস করেন তবে এটি আপনার শরীরকে
সুস্থ রাখতে সহায়তা করবে এবং ঠান্ডা জনিত অসুখ যেমন সর্দি-কাশি এবং কোষ্ঠকাঠিন্য
ও হজমের মত সমস্যাও দূর করতে সহায়তা করবে ৷
এছাড়াও তুলছি আপনার শরীরের টিএইচএস স্তর সঠিকভাবে বজায় রাখতে সহায়ক ৷ সকালে
খালি পেটে তুলসী পাতা চিবিয়ে খেলে তা আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা ধরে রাখতে সাহায্য
করে ৷ তুলসিতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট প্রপার্টি রয়েছে যা আমাদেরকে অকাল বার্ধক্য
থেকে রক্ষা করে ৷
শিশুদের তুলসী পাতা খাওয়ার নিয়ম
অনেক সময় শিশুর ঠান্ডা লেগে যায় এবং সর্দি - কাশি জ্বর ও নিউমোনিয়ার মত সমস্যা
দেখা দেয় ৷ এ সকল সমস্যা দ্রুত নিরাময়ের জন্য তুলসী বেশ উপকারী একটি ঔষধি ৷
শিশুকে তুলসী পাতা খাওয়াবেন যেভাবে
- কয়েকটি তুলসী পাতার সঙ্গে এক টুকরো আদা পেস্ট করে নিন ৷ দিনে দুইবার এই পেস্ট খাওয়ান ৷
- তুলসীর এই পেস্টের সঙ্গে মিশিয়ে নিতে পারেন এক চা চামচ মধু ৷
- একটি পাত্রে পানি গরম করে তাতে আদা কুচি , তুলসী পাতা ও দারুচিনি গুড়া দিন ৷
- এছাড়াও তুলসী পাতায় গুড় মিশিয়ে সরাসরি চিবিয়েও খাওয়াতে পারেন শিশুকে ৷
৬ মাসের শিশুকে তুলসী পাতার রস খাওয়ানো যাবে কি?
উত্তর: হ্যাঁ অবশ্যই খাওয়াতে পারেন ৷ তুলসী রস কফ - সর্দি ও জ্বর থেকে মুক্তি
পেতে আপনার বাচ্চাকে সাহায্য করবে ৷ এক্ষেত্রে তুলসীর কয়েকটি কাঁচা পাতা হালকা
গরম জলে সিদ্ধ করুন এবং এই দলটি আপনার শিশুকে দিনে দুইবার পান করান অথবা শিশুর
দুধে দুই থেকে তিন চা চামচ তুলসীর এই জলটি যোগ করতে পারেন এতে বেশ ভালো উপকার
মিলবে ৷
মধু ও তুলসী পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে তুলসী সহায়তা করে এবং মধুতে রয়েছে ভিটামিন ও
পুষ্টি উপাদান ৷ তুলসী আমাদের ঠান্ডা থেকে রক্ষা করে এবং মধু ঠান্ডা থেকে সুরক্ষা
প্রদান করে ৷ তুলসী পাতার সেবন কাশি কমাতে উপকারি এবং তুলসী মধুর মিশ্রণ কাশি
কমানোর একটি চমৎকার ঘরোয়া উপাদান ৷ এলার্জিজনিত সমস্যা কমাতে তুলসী ও মধুর
মিশ্রণ বেস্ট কার্যকরী এতে রয়েছে উপাদান ৷ এছাড়াও অকাল বার্ধক্য কমাতে ,
কিডনিতে পাথর নিয়ন্ত্রণে এবং হৃদপিণ্ডকে ভালো রাখতে সহায়তা করে তুলসী ও মধুর এই
মিশ্রণ ৷
তুলসী পাতার চা এর উপকারিতা
ঋতু পরিবর্তনের কারণে সর্দি কাশি জ্বর গলা ব্যথা এবং ঠান্ডা জনিত সমস্যায় ভুগছেন
তাহলে ট্রাই করতে পারেন তুলসী পাতার চা যা দারুন কার্যকরি ৷ এতে থাকা বিভিন্ন
ঔষধি গুন সম্পন্ন উপাদান আপনার শরীরে রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ এবং
ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতে সহায়তা করে ৷ এছাড়া মানসিক চাপ ও দুশ্চিন্তা কমাতে
এবং মুখের কালো দাগ -ছোপ দূর করতে ট্রাই করতে পারেন তুলসী পাতার চা ৷ এর জন্য
কয়েকটি কাঁচা তুলসী পাতা আদা কুচি ও ৩ চা চামচ চা পাতা দিয়ে তৈরি করতে পারেন
চা-টি ৷
তুলসী পাতার ক্ষতিকর দিক
তুলসী পাতা সেবনে যেমন মিলবে রোগ থেকে মুক্তি তেমনি অতিরিক্ত সেবনের ফলে এটি হতে
পারে অনেক বড় সমস্যার কারণ ৷ বিশেষ করে যাদের ডায়াবেটিস রয়েছে , তাদের শরীরে
গ্লুকোজের মাত্রা অতিরিক্ত কমে গিয়ে হাইপোগ্লাইসেমিয়া হতে পারে ৷ যার ফলে
ডায়াবেটিস রোগীদের প্রতিদিন তুলসী পাতা সেবন না করায় ভালো ৷
এছাড়াও তুলসী পাতা অধিক পরিমাণ সেবনের ফলে শ্বাসকষ্ট মুত্র ও কাশির সঙ্গে
রক্তপাত জনিত সমস্যা হতে পারে ৷ গর্ভবতীদের ক্ষেত্রে গর্ভাবস্থায় এটি সেবন না
করায় উত্তম হবে ৷ কারণ গর্ভাবস্থায় তুলসীর রস সেবনের ফলে গর্ভপাত হওয়ার আশঙ্কা
বৃদ্ধি পায় ৷ তাই তুলশীর রস সেবন করতে হবে নিয়ম মেনে অতি অল্প পরিমাণে ৷
তাছাড়া সব থেকে ভালো হয় ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে বিভিন্ন রোগের রোগীরা এটি সেবন
করতে পারে ৷
আমাদের শেষ কথা
প্রিয় বন্ধুগণ এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনাদের জানানোর চেষ্টা করেছি তুলসী পাতার
উপকারিতা ও অপকারিতা এবং এটি পান করার সঠিক নিয়ম সম্পর্কে ৷ যা আমাদের অনেক
ধরনের রোগ প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে এবং আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখে ৷ এতে রয়েছে
বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন ও রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা ৷ তুলসী পাতা আমাদের বিভিন্ন
রোগের হাত থেকে যেমন ক্যান্সার কোষ্ঠকাঠিন্য উচ্চ রক্তচাপ সর্দি কাশি জ্বরের মতো
সমস্যায় সমাধান দিয়ে থাকে ৷ কিন্তু এটা মাত্রাঅতিরিক্ত সেবন করা যাবে না এতে
দেখা দিতে পারে বিভিন্ন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াও ৷ তাই স্বল্প পরিমাণে এবং নিয়ম
মেনে এর সেবন করায় উত্তম কাজ হবে ৷
তাই তুলসী পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে এর সেবন করতে হবে ।প্রয়োজনে নিতে হবে ডাক্তারি পরামর্শ । আশা করি আজকের এই আর্টিকেলটি আপনাদের অনেক কিছু জানতে সহায়তা করেছে ৷ আপনার যদি
এই পোস্টটি পড়ে ভালো লাগে তাহলে আপনি এই পোস্টটি আপনার বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার
করতে পারেন এবং তাদেরকেও তুলসী পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানাতে পারেন ৷ আপনি যদি এই ধরনের পোস্ট আরো পেতে চান তাহলে , এই ওয়েবসাইটটি
মাঝেমধ্যে ভিজিট করতে পারেন , ধন্যবাদ ৷
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url