অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য কোন বিষয়ে জানা প্রয়োজন
বর্তমান সময়ে ডিজিটাল মার্কেটিং করে অনলাইন থেকে হিউজ পরিমাণ টাকা ইনকাম করা
যায় ডিজিটাল মার্কেটিং এর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় সেক্টর হচ্ছে অ্যাফিলিয়েট
মার্কেটিং । বর্তমানে অনলাইনে ইনকাম করার কার্যকরী উপায় গুলোর
মধ্যে একটি হচ্ছে মোবাইল দিয়ে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করা । দিনদিন যেন
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর জনপ্রিয়তা বেড়ে যাচ্ছে । আপনারা অনেকেই ব্লগ,
সোশ্যাল মিডিয়া চ্যানেল বা অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করতে চাচ্ছেন । কিন্তু অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার
জন্য কোন বিষয়ে জানা প্রয়োজন বা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে কিভাবে সফলতা অর্জন
করা যায় এই বিষয়ে অনেকেরই যথেষ্ট পরিমাণ ধারণা নেই ।
এমন অসংখ্য সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীরা রয়েছে যারা একদমই জানেনা যে
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য কোন বিষয়ে জানা প্রয়োজন । অ্যাফিলিয়েট
মার্কেটিং করে ইনকাম করার জন্য বেশ কিছু বিষয়ে দক্ষতা অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হয়
যেগুলো ছাড়া অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে প্রচার-প্রচারণা করা সম্ভব না । আপনারা
যারা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য কোন বিষয়ে জানা প্রয়োজন এই বিষয়ে
ইন্টারনেটের বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া বা ওয়েবসাইটে খুঁজে বেড়াচ্ছেন তাদের জন্য
আজকের এই পোস্টটি অত্যন্ত কার্যকরী হতে চলেছে ।
আজকের ব্লগ পোস্টটির মাধ্যমে আপনারা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সংক্রান্ত যে
সকল তথ্য সম্বন্ধে জানতে পারবেন সেগুলো হচ্ছে , অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি,
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে শুরু করবো, মোবাইল দিয়ে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং
করার উপায় কি, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর সুবিধা কি কি, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এ
কত পারসেন্ট কমিশন দেওয়া হয় ইত্যাদি।
পেজ সূচিপত্রঃ নিচের যে অংশ থেকে পড়তে চান, ক্লিক করুন
ভূমিকা
মোবাইল দিয়ে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হচ্ছে এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে আপনি
বিভিন্ন কোম্পানির পণ্য প্রচার করার মাধ্যমে সেই পণ্যগুলো বিক্রির উপর কমিশন লাভ
করতে পারবেন । অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হলো এক ধরনের পারফরম্যান্স বেসড
মার্কেটিং মডেল যেখানে আপনার প্রচারের উপর আপনার ইনকাম নির্ভর করে । মানে আপনি
কতটুকু প্রচার-প্রচারণা চালাতে পারছেন তার ওপর আপনার ইনকাম নির্ভর করবে ।
আপনি যদি মোবাইলের অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে টাকা ইনকাম করতে চান তাহলে
আপনাকে জানতে হবে যে মোবাইল দিয়ে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য কোন
বিষয়ে জানা প্রয়োজন , কিভাবে মোবাইল দিয়ে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে এবং
মোবাইল দিয়ে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে কি পরিমাণ টাকা ইনকাম করা সম্ভব ।
যদিও আপনাদের কাছে মোবাইল দিয়ে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শব্দটি খুব সহজে মনে
হতে পারে কিন্তু এটি মোটেও তেমন সহজ কাজ নয় ।
আপনারা যারা ভাবছেন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য কোন বিষয়ে জানা
প্রয়োজন তাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই এই সম্পর্কে আপনাদেরকে কিছু কৌশলগত উপায়
অবলম্বন করতে হবে । সাধারণত অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য প্রয়োজন
ওয়েবসাইটের ট্রাফিক সোর্স, কোন কোম্পানির যে পণ্যটি আপনি এফিলিয়েট মার্কেটিং এর
মাধ্যমে প্রচার করতে যাচ্ছেন সেই সম্পর্কে পর্যাপ্ত জ্ঞান অর্জন করা, একটি ভালো
কনটেন্ট মার্কেটিং,কনভারসেশন অপটিমাইজেশন এবং রিপোর্টিং সংক্রান্ত জ্ঞান অর্জন ।
আপনি যদি মোবাইল দিয়ে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে ইনকাম করতে চান
তাহলে অবশ্যই আপনাকে একটি কাজের ক্ষেত্র বেছে নিতে হবে । এমন একটি কাজ বেছে নিতে
হবে যে কাজের উপর আপনার পরিপূর্ণ আগ্রহ ধারণা রয়েছে । এতে করে আপনার
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এ কাজ করতে বেশ সুবিধা হবে । যেমন, ব্লগিং, কনটেন্ট
রাইটিং । আপনি যদি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইনকাম করতে চান তাহলে
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য অবশ্যই আপনাকে ট্রাফিক সোর্স বা কিভাবে
ট্রাফিক জেনারেট করতে হয় সে সম্পর্কে জানতে হবে ।
কারন আপনার ওয়েবসাইটে বা আপনার ফেসবুক পেইজে বা ইউটিউব চ্যানেলে পর্যাপ্ত
পরিমাণে ট্রাফিক জেনারেট না হলে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এ সফল হওয়া খুবই কঠিন ।
অবশ্যই আপনার ওয়েবসাইটের ব্লগ পোস্টগুলোতে এসইও ফরমেট অনুযায়ী কন্টেন্ট পাবলিশ
করতে হবে । এতে করে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর সফল হওয়ার সম্ভাবনা
বেশি ।
আপনি কোন একটি কোম্পানির যে পণ্য সম্পর্কে সম্প্রচার করতে চাচ্ছেন বা
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে চাচ্ছেন সেই পণ্য সম্পর্কে আপনার সঠিক ধারণা
থাকতে হবে । পণ্যগুলো ব্যবহারের সুবিধা কি, অসুবিধা কি, পণ্যের গুণগত মান এবং
বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে গ্রাহকদের নিকট বা আপনার ভিউয়ার্স এর নিকট সঠিক তথ্য গুলো
তুলে ধরতে হবে এতে করে আপনি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এ সফল হতে পারবেন ।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি?
প্রিয় পাঠক আপনার ওপরে লক্ষ্য করলে দেখবেন কিছুক্ষণ পূর্বে আমরা আলোচনা করেছি
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য কোন বিষয়ে জানা প্রয়োজন । এখন আপনাদের
সাথে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি এই সম্পর্কিত তথ্য শেয়ার করব ।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হচ্ছে এমন এক ধরনের পারফরম্যান্স বেসড মার্কেটিং
মডেল যেখানে একজন এফিলিয়েট কোন নির্দিষ্ট একটি কোম্পানির নির্দিষ্ট একটি
পণ্যসেবার তথ্যগুলো গ্রাহকদের নিকট প্রচার করার মাধ্যমে ইনকাম করে থাকে ।
এর ফলে গ্রাহকরা অনলাইনে তাদের পছন্দমত পণ্য সিলেক্ট করতে পারে এবং তাদের পছন্দমত
পণ্য কেনার প্রতি আগ্রহী হয়ে ওঠে এবং যেই প্রতিষ্ঠানের পণ্য সেবার ওপর এফিলিয়েট
মার্কেটিং করা হচ্ছে সেই প্রতিষ্ঠানও অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং দ্বারা লাভবান
হয় । প্রতিটি পণ্যের প্রচার-প্রচারণা এবং বিক্রয় মূল্যের উপর ভিত্তি করে
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার কোম্পানির কাছ থেকে কমিশন লাভ করে থাকে ।
আপনি যে সকল কোম্পানির পণ্যগুলো ওয়েবসাইট বা সোশ্যাল মিডিয়ার প্ল্যাটফর্মের
মাধ্যমে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করবেন যদি আপনার অ্যাফিলিয়েট
মার্কেটিং করার লিংক থেকে কোন কাস্টমার সেই কোম্পানির কাছ থেকে কোন পণ্য
কিনে থাকে তখন আপনি একটি কমিশন পেয়ে যাবেন যাকে বলে অ্যাফিলিয়েট
মার্কেটিং কমিশন । অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য ভালো একটি সোশ্যাল
মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের প্রয়োজন ।
বর্তমানে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইনকাম করার জন্য সোশ্যাল মিডিয়া
প্লাটফর্ম গুলোরচেয়ে আর ভালো কোন মাধ্যম নেই । বর্তমানে অ্যাফিলিয়েট
মার্কেটিং করার ক্ষেত্রে সবচেয়ে ভালো সোশ্যাল মিডিয়ার প্ল্যাটফর্ম গুলো
হলো, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, টুইটার, ইউটিউব, টিক-টক, বর্তমানে এই ধরনের সোশ্যাল
মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে আপনি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এ বড় একটি
প্ল্যাটফর্ম গড়ে তুলতে পারেন ।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে শুরু করবো
প্রতিটা মানুষের জন্য অতিরিক্ত আয়ের সুযোগ খুঁজে বের করা একটি গুরুত্বপূর্ণ
বিষয় । বর্তমান সময়ে ইন্টারনেট অসীম সম্ভাবনার দরজা খুলে দিয়েছে আমাদের সামনে
। যেখানে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর মত আরও বিভিন্ন উপায়ে আমাদের আয়ের
নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে যার মধ্যে আরও একটি হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং । ডিজিটাল
মার্কেটিং কি সেই সম্পর্কে জানতে এই লিংকে ক্লিক করে দেখে আসতে
পারেন ।
প্রিয় পাঠক ইতোমধ্যে আমরা আপনাদের সামনে আলোচনা করেছি যে অ্যাফিলিয়েট
মার্কেটিং করার জন্য কোন বিষয়ে জানার প্রয়োজন এবং অ্যাফিলিয়েট
মার্কেটিং কি সেই সম্পর্কে । আপনারা যারা মোবাইল দিয়ে এফিলেট মার্কেটিং
করার চিন্তাভাবনা করছেন বা ভাবছেন যে কিভাবে মোবাইল দিয়ে অ্যাফিলিয়েট
মার্কেটিং শুরু করব তাদের জন্য আজকে এমন কয়েকটি কৌশল নিয়ে হাজির হয়েছি
যেগুলোর প্রত্যেকটি ধাপ সঠিকভাবে অবলম্বন করার মাধ্যমে আপনারা মোবাইল দিয়ে
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার উপায় শিখতে পারবেন ।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করার প্রথম ধাপ হচ্ছে নির্দিষ্ট কোন একটি ক্ষেত্র
নির্বাচন করা । যে ধরনের কাজের প্রতি আপনার আগ্রহ রয়েছে এবং আপনি সে সম্পর্কে
কাজ করে যেতে পারবেন তাকেই ক্ষেত্র বলা হচ্ছে । যেমন, প্রযুক্তি, বিজ্ঞান,
স্বাস্থ্য, ভ্রমণ, প্রকৃতি, ফিটনেস, তথ্য প্রযুক্তি ইত্যাদি আপনার পছন্দমত যে কোন
একটি বিষয় নির্বাচন করে নিতে হবে ।
আপনার যে বিষয় বা ক্ষেত্রটির ওপর গভীর জ্ঞান এবং ধারণা রয়েছে আপনি যদি সেই
বিষয়ে কন্টেন্ট রাইটিং করে আপনার ওয়েবসাইটে পাবলিশ করার মাধ্যমে প্রচুর পরিমাণে
ট্রাফিক জেনারেট করতে পারেন তাহলে আপনি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে অনেক
টাকা ইনকাম করতে পারবেন এবং এটি আপনার একটি দীর্ঘমেয়াদি পেশায় পরিণত হতে পারে
।
ট্রাফিক জেনারেট কি সেই সম্পর্কে জানতে
এই লিংকে ক্লিক করে আমাদের ওয়েবসাইট থেকে জেনে নিতে পারেন ।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য এমন কিছু সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম এ
আপনার পেজ তৈরি করুন যে প্লাটফর্ম গুলোতে গ্রাহক সংখ্যা সব সময় বেশি । যেমন ধরুন
বর্তমানে ইউটিউব, ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম, টিক-টক, এই ধরনের সোশ্যাল
মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম গুলোতে মানুষের কোটি কোটি অ্যাকাউন্ট রয়েছে ।
তাই এই সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম গুলোতে যদি আপনি আপনার একাউন্ট তৈরি করতে পারেন
এবং ভালো মাপের এসিও রিলেটেড কনটেন্ট দিতে পারেন তাহলে আপনি একজন সফল
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার হতে পারবেন । এসইও রিলেটেড কনটেন্ট বলতে কী বোঝায় সে
সম্পর্কে জানার জন্য এই লিংকে ক্লিক করে জেনে নিতে পারেন ।
এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সেমিনারে জয়েন করে আপনি
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে আরো নতুন নতুন ধারণা লাভ করতে পারবেন
।
এর মধ্যে বর্তমানে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সেমিনারে জয়েন করার বেশ কিছু
জনপ্রিয় প্রোগ্রাম হলো- (Amazon Associates, ShareASale, CJ Affiliate)। বর্তমান
সময়ে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে সফল হওয়ার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়
হচ্ছে গুণগত মানের কনটেন্ট তৈরি করা । সেই কনটেন্টটি হতে পারে ভিডিও অথবা অডিও ।
তবে কনটেন্ট গুলো তৈরীর ক্ষেত্রে অবশ্যই গ্রাহকদের চাহিদার উপর নজর রাখতে হবে ।
যাতে করে কন্টেন্ট গুলো তাদের পড়ে পছন্দ হয় এবং তারা দীর্ঘ সময় আপনার পেজে বা
ওয়েবসাইটে অবস্থান করে ।
কন্টেন্ট গুলো তৈরি করার ক্ষেত্রে অবশ্যই কনটেন্ট এর সত্যতা বজায় রেখে কন্টেন্ট
তৈরি করতে হবে । তার সঙ্গে কিছু মূল্যবান তথ্য শেয়ার করতে হবে যাতে গ্রাহকরা
আপনার তৈরিকৃত প্রতিটি কনটেন্টএ ভিজিট করে লাভবান হয় । কনটেন্ট তৈরির ক্ষেত্রে
প্রতিটি কনটেন্টে অবশ্যই সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন কৌশল প্রয়োগ করে কন্টেন্ট
তৈরি করতে হবে । মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে কন্টেন্ট ট্রাকিং খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি
বিষয় ।
কনটেন্ট ট্রাকিং অ্যাপ্লিকেশন দিয়ে আপনি খুব সহজেই দেখতে পারবেন যে আপনার
কোন কনটেন্ট টি কেমন রেংক করছে এবং কোনগুলো কম র্যাঙ্ক করছে । এতে করে আপনি কম
রাঙ্ককৃত কন্টেন্টগুলোকে আবার র্যাঙ্কে নিয়ে আসতে পারবেন । যদিও বা
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর জার্নিটা শুরুর দিকে সহজ মনে হবে তবুও এতে সফল
হওয়া খুবই কঠিন বিষয় । যদি আপনি কঠোর পরিশ্রম এবং কৌশলগত ধাপ অবলম্বনের মাধ্যমে
এগিয়ে যান এবং ধৈর্যের সাথে কাজ করতে পারেন তবে আপনি এফিলেট মার্কেটার হিসেবে
সফলতা অর্জন করতে পারবেন ।
মোবাইল দিয়ে কি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সম্ভব?
বর্তমানে স্মার্টফোন আমাদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য একটি অংশ । কেনাকাটা, যোগাযোগ,
বিনোদন, এছাড়া সবকিছু এখন আমাদের হাতের মুঠোয় । তাহলে প্রশ্ন আসতেই পারে,
এই স্মার্টফোন ব্যবহার করে কি অর্থ উপার্জন করা সম্ভব? হ্যাঁ অবশ্যই সম্ভব । কারণ
এখন আপনার হাতে থাকা স্মার্টফোনের মাধ্যমে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আপনি
ঘরে বসেই আয় করতে পারবেন । তার জন্য আপনাকে প্রথমে অ্যাফিলিয়েট
মার্কেটিং করার জন্য কোন বিষয়ে জানা প্রয়োজন সে সম্পর্কে ধারণা লাভ করতে
হবে ।
মোবাইল দিয়ে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং
প্রিয় পাঠক আপনারা এতক্ষণ যাবৎ ব্লগ পোস্টটি পড়ে মোবাইল দিয়ে অ্যাফিলিয়েট
মার্কেটিং করার জন্য কোন বিষয়ে জানা প্রয়োজন সে সম্পর্কে কিছুটা হলেও
ধারণা লাভ করতে পেরেছেন । বর্তমানে আপনার হাতে থাকা স্মার্টফোনটি দিয়ে
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার বেশ কিছু সুবিধা রয়েছে যেমন মোবাইল দিয়ে
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে ফ্লেক্সিবিলিটি । এতে
হয় কি আপনি যেকোনো সময় যে কোন স্থানে মোবাইল বহন করতে পারবেন এবং আপনার হাতে
থাকা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর প্রচারণার কাজটিও সহজে
করতে পারবেন ।
এর জন্য প্রয়োজন আপনার মোবাইলে পর্যাপ্ত পরিমাণ ইন্টারনেট । অ্যাফিলিয়েট
মার্কেটিং করার জন্য যদিও বা কম্পিউটার বা ল্যাপটপ বেস্ট একটি ডিভাইস তবুও
আপনি এটি যদি আপনার হাতে থাকা সেল ফোন দিয়ে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারেন
তাহলে কম্পিউটার বা ল্যাপটপের তেমন কোনো প্রয়োজনই হয় না বলে আমি মনে করি । আপনি
মোবাইল দিয়ে অনেকটা কম খরচে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারছেন । কারণ বর্তমানে
একটি ল্যাপটপ বা কম্পিউটারের চেয়ে একটি স্মার্টফোনের মূল্য অনেকটাই কম এবং একটি
স্মার্ট ফোন দিয়ে এর সমপরিমাণ কাজ করা যাচ্ছে ।
এছাড়াও ল্যাপটপ বা কম্পিউটার কেনার সাথে সাথে বেশ কিছু আলাদা ডিভাইসেরও প্রয়োজন
পড়ে যেগুলো ছাড়া ল্যাপটপ বা কম্পিউটার পরিচালনা করা যায় না । তাই
তুলনামূলকভাবে মোবাইল অনেকটা কম খরচে কেনা যায় । এতে করে কম খরচে আপনি আপনার
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং জার্নি শুরু করতে পারবেন আপনার হাতে থাকা
স্মার্টফোনটি দিয়েই ।
এছাড়াও মোবাইল দিয়ে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার আরো একটি বড় সুবিধা রয়েছে
ধরুন যেকোনো সময় আপনি বিভিন্ন ভিডিও রিলেটেড কনটেন্ট দ্রুত তৈরি করতে পারছেন ।
এর জন্য আপনার কাছে একটু ভালো মানের স্মার্টফোন থাকতে হবে যার ক্যামেরার
কোয়ালিটি একটু ভালো মানের হবে । এবং আপনি আপনার ফোনে একটি এডিটিং অ্যাপ্লিকেশন
ডাউনলোড করে নেবেন । এতে করে আপনি দ্রুত ভিডিও রিলেটেড কনটেন্ট তৈরি করে এডিটিং
করার মাধ্যমে আপলোড দিতে পারবেন ।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর সুবিধা
বর্তমান সময়ে অনলাইনে ইনকাম করার যতগুলো উপায় রয়েছে তার মধ্যে অ্যাফিলিয়েট
মার্কেটিং অন্যতম সেরা একটি মাধ্যম । অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এমন একটি
মাধ্যম যেখানে আপনি বিভিন্ন কোম্পানির কোন একটি পণ্য সেবা গুলো গ্রাহকদের নিকট
আপনার কনটেন্টের মাধ্যমে প্রচার প্রচারণা করার মাধ্যমে কমিশন লাভ করতে পারবেন ।
এক্ষেত্রে আপনি যদি ভালো কনটেন্ট দিতে পারেন এবং আপনার ফলোয়ার সংখ্যা যদি অনেক
বেশি হয়ে থাকে বা আপনি যদি অনেক বেশি ট্রাফিক জেনারেট করতে পারেন তাহলে আপনি
সময়ের সাথে সাথে আপনার জার্নি আর বড় করে তুলতে পারবেন এবং আপনার কমিশন বা
স্যালারি বেড়ে যাবে । আপনি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার মাধ্যমে যে ধরনের
সুবিধা গুলো ভোগ করবেন তা নিম্নে দেওয়া হলোঃ
- অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এমন একটি পেশা যেখানে ঝুঁকির পরিমাণ খুবই কম । কারণ আপনি যে ধরনের পণ্য বা সেবা গুলি প্রচার করবেন সেই পণ্যটি আপনার নিজের নয় । যেহেতু আপনি অন্য কোন কোম্পানির পণ্য প্রচার করছেন তাই পণ্য সম্পর্কিত সমস্ত দায়িত্ব দায়ভার কোম্পানি নিজে বহন করবে ।
- অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এমন একটি পেশা যেখানে আপনার কোন অর্থ বিনিয়োগ করার প্রয়োজন নেই । যদিও বা আপনি ওয়েবসাইটে কন্টেন্ট তৈরি করতে চান তাহলে অল্প কিছু টাকা খরচ করতে হতে পারে । তবে বেশিরভাগ অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার মার্কেটিং শুরু করার ক্ষেত্রে তেমন বড় ধরনের কোন বিনিয়োগ করে থাকেনা বা বি নিয়োগ করার প্রয়োজন হয় না ।
- অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার মাধ্যমে পুরো বিশ্ববাজারে এক্সেস পাওয়ার সম্ভাবনা থেকে থাকে । কারণ আপনি যে পণ্যের বা সেবার প্রচার করছেন সেটি সারা বিশ্বের যে কোন প্রান্তের মানুষ দেখতে পাবে এবং পণ্যটি যার কাছে ভালো লাগবে সে ক্রয় করতে পারবে । এতে করে আপনার জনপ্রিয়তা সকল গ্রাহকদের কাছে পৌঁছে যাবে ।
- অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার মাধ্যমে আপনার ডিজিটাল মার্কেটিং বা অনলাইন মার্কেটিং সম্পর্কে দক্ষতা বাড়বে । যেমন ধরুন, সার্চ ইঞ্জিন অপটিম্যাজিসন, সোশ্যাল মিডিয়াম মার্কেটিং, কন্টেন্ট মার্কেটিং, ইমেইল মার্কেটিং, টুইটার মার্কেটিং ইত্যাদি । এই কাজে দক্ষতা অর্জন করার মাধ্যমে আপনি এফিলেট মার্কেটিং এ বড় কোন কোম্পানির পার্মানেন্ট একজন মার্কেটার হিসাবে সুযোগ পেতে পারেন ।
- অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার সবচেয়ে বড় সুবিধাটি হচ্ছে আপনি আপনার স্বাধীনতা অনুযায়ী স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারবেন । ধরুন আপনি কোন সময় বাড়ির বাইরে রয়েছেন বা আপনি যেকোনো সময় যে কোন স্থানে থেকে থাকুন না কেন এই কাজটি আপনি আপনার স্মার্টফোনের মাধ্যমে করতে পারবেন । শুধু আপনার কাজের সময় অন্য সেবা হল উপস্থিত থাকা আবশ্যক ।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এ কত পারসেন্ট কমিশন দেওয়া হয়
প্রিয় পাঠক বন্ধুরা ওপরে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য কোন বিষয়ে জানা
প্রয়োজন এই সম্পর্কিত বিভিন্ন ধরনের তথ্য নিয়ে অনেক আলোচনা করা হলো । কিন্তু
এফিলেট মার্কেটিং এ কত পারসেন্ট কমিশন দেওয়া হয় একজন মার্কেটার কে এ বিষয়ে
আপনাদের কোন ধারনা আছে? মূলত অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর কমিশন নির্ভর করে
প্রোডাক্টের মূল্যের ওপর । সাধারণত এই কমিশন ৫% থেকে ৭০% পর্যন্ত কোম্পানি একজন
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটারকে প্রদান করে থাকে ।
তবে ভিন্ন ভিন্ন অ্যাফিলিয়েট প্ল্যাটফর্ম ভেদে এই কমিশন মার্কেটারদের
দেওয়া হয়ে থাকে । এক্ষেত্রে যে সকল অ্যাফিলিয়েট মার্কেটারদের সোশ্যাল
মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম গুলোতে ফলোয়ার বা ভিউয়ার্স সংখ্যা অনেক বেশি থাকে তাদেরকে
কমিশন পার্সেন্টেজ হিসেবে বেশি দেওয়া হয়ে থাকে । তাহলে চলুন নিচে জেনে নেওয়া
যাক অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর কমিশন সম্পর্কে ।
- অফলাইন প্রোডাক্টস কমিশন: ৫% - ১০%
- ডিজিটাল প্রোডাক্টস কমিশন: ২০% - ৫০%
- ওয়েব হোস্টিং এবং সফটওয়্যার সাবস্ক্রিপশন: কমিশন: ৩০% - ৭০%
- ফ্যাশন এবং পোশাক কমিশন: ১৪% - ১৫%
- বিউটি এবং কসমেটিক প্রোডাক্টস কমিশন: ১০% - ১৫%
- ট্র্যাভেল এজেন্সি এবং ট্যুরিজম: কমিশন: ৫% - ২০%
- অনলাইন কোর্স এবং ট্রেনিং প্রোগ্রাম কমিশন: ৩০% - ৪০%
লেখকের শেষকথা
প্রিয় পাঠক বৃন্দ আমাদের ওয়েবসাইটের আজকের ব্লগ পোস্টটি তাদের জন্য অত্যন্ত
গুরুত্বপূর্ণ যারা অনলাইনে ঘরে বসে ইনকাম করতে চাচ্ছে । বর্তমানে অ্যাফিলিয়েট
মার্কেটিং করে অনেকেই ঘরে বসে লক্ষাধিক টাকা ইনকাম করছে । তবে অ্যাফিলিয়েট
মার্কেটিং করার জন্য কোন বিষয়ে জানা প্রয়োজন এই সম্পর্কে তোমাকে প্রথমে
পূর্ণাঙ্গ ধারণা অর্জন করতে হবে । বর্তমানে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার
জন্য কোন বিষয়ে জানা প্রয়োজন এই সম্পর্কিত বিভিন্ন ধরনের অফলাইন ও
অনলাইন কোর্স সমূহ রয়েছে । যে কোর্সগুলো করার মাধ্যমে তোমরা অ্যাফিলিয়েট
মার্কেটিং সম্পর্কে আরো অনেক ধরনের তথ্য ও কৌশল সম্পর্কে জানতে পারবে ।
বর্তমানে ডিজিটাল মার্কেটিং প্লাটফর্মের একটি বড় প্ল্যাটফর্ম হচ্ছে অ্যাফিলিয়েট
মার্কেটিং । বর্তমানে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে হাজার হাজার যুবক
বেকারত্বের কারাগার থেকে বেরিয়ে এসেছে এবং নিজেই নিজের কর্মসংস্থান ও ইনকাম
সোর্স তৈরি করেছে । প্রিয় বন্ধুগণ আজকের এই পোস্টটি পড়ে আপনারা যদি উপকৃত হয়ে
থাকেন বা কোন তথ্য লাভ করেন তাহলে এই পোস্টটি আপনার বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করতে
ভুলবেন না । এবং কমেন্ট বক্সে মন্তব্য করে জানাবেন যে আজকে এই পোস্টটির মাধ্যমে
আপনি কি শিখতে পারলেন ধন্যবাদ ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url