২০২৫ সালের ফ্রিল্যান্সিং এর যেসব কাজের চাহিদা বেশি
ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি ২০২৫ সম্পর্কে আজকের এই আর্টিকেলে আমরা
আপনাদের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা করতে চলেছি সেই সাথে বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর
সবথেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি সে বিষয়গুলো নিয়েও আলোচনা করা হবে ।
এছাড়া অনলাইনে কোন কাজের চাহিদা সবচেয়ে বেশি এবং কিভাবে ঘরে বসে প্রতি মাসে লাখ
টাকা ইনকাম করবেন সে বিষয়গুলো নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা করব । তাই আপনি যদি
ফ্রিল্যান্সিং এর কোন কাজে চাহিদা সবচেয়ে বেশি এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চান
তাহলে পুরো আর্টিকেলটির সাথেই থাকুন ।
পেজ সূচিপত্রঃ ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি ২০২৫
- ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি
- ডিজিটাল মার্কেটিংঃ
- গ্রাফিক্স ডিজাইনঃ
- ভিডিও এডিটিংঃ
- কন্টেন্ট রাইটিংঃ
- ওয়েবসাইট ডিজাইনঃ
- অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্টঃ
- ডাটা এন্ট্রিঃ
- বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি
- অনলাইনে কোন কাজের চাহিদা সবচেয়ে বেশি
- ফ্রিল্যান্সিং এ আয়ের দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান কত
- ডিজিটাল মার্কেটিং এর কোন কোন কাজের চাহিদা বেশি
- ফ্রিল্যান্সিং এ কতগুলো সেক্টর আছে কি কি
- ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি নিয়ে জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন ও উত্তর
- ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ ভর্তি বিজ্ঞপ্তি ২০২৫
- ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে নারী পুরুষের অংশগ্রহণের শতকরা হার কত ২০২৫
- লেখকের শেষ কথাঃ ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি ২০২৫
ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি
ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি ২০২৫ এ নিয়ে আপনারা অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়া
প্লাটফর্ম গুলোতে জানার চেষ্টা করে থাকেন । আজকে আমাদের আর্টিকেলের এই অংশে আমরা
আপনাদেরকে বলব যে বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং জগতের সবচেয়ে ডিমান্ডেবল কাজ কোনগুলো ।
বর্তমান সময়ে ফ্রিল্যান্সিং খুবই জনপ্রিয় একটি অনলাইন ইনকামের মাধ্যম ।
পড়াশোনার পাশাপাশি অথবা যেকোনো প্রফেশনে থাকার পাশাপাশি আপনি ঘরে বসেই
ফ্রিল্যান্সিং করে প্রতি মাসে খুব ভালো মানের একটি ইনকাম জেনারেট করতে পারেন
।
কিন্তু ফ্রিল্যান্সিং করার পূর্বে আপনাকে কয়েকটি বিষয় সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে
। আপনি যে ফ্রিল্যান্সিং করবেন কিন্তু ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের মধ্যে কোন কাজগুলোর
চাহিদা সবচেয়ে বেশি সেই বিষয়ে আপনার প্রথমে জানা উচিত । অর্থাৎ ফ্রিল্যান্সিং
সেক্টরের কোন কোন কাজগুলো শিখলে আপনি যেকোনো সময় ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস
ওয়েবসাইট গুলোতে কাজ পেতে পারেন এবং এই কাজটি দীর্ঘ সময় ধরে অন্তত ১০ থেকে ১৫
বছর লাস্টিং করবে ।
এ বিষয়ে একটা ধারণা দেওয়া যায় যেমন, ধরুন আপনি এমন একটা ফ্রিল্যান্সিং
সেক্টরের কাজ শিখলেন যে কাজটা শিখে আপনি মার্কেটপ্লেসে কোন কাজ পাচ্ছেন না অথবা
লোকাল মার্কেটে কোন কাজ পাচ্ছেন না । এরকম কোন ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের কাজ যদি
আপনি শিখেন তাহলে কি আপনার কোন লাভ হবে? মোটেও না । তাই আপনাকে এমন কিছু কাজ
শিখতে হবে যেটার ডিমান্ড বর্তমান ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট মার্কেটপ্লেস গুলোতে
অনেক বেশি রয়েছে ।
তাহলে চলুন নিচে এইরকম কিছু জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের কাজ যেগুলোর চাহিদা
বর্তমানে অনেক বেশি রয়েছে সেগুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা যাক ।
ডিজিটাল মার্কেটিংঃ
ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে বর্তমান সময়ের সবচেয়ে ডিমান্ডেবল কাজগুলোর মধ্যে একটি
হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং । ডিজিটাল মার্কেটিং মহা সমুদ্রের নাম, মানে ডিজিটাল
মার্কেটিং এর মধ্যে আপনি অনেকগুলো বিষয় একসঙ্গে শিখতে পারবেন এই জন্য একে
মহাসমুদ্র বলা হয়েছে । আপনার সম্পূর্ণ ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার কোন প্রয়োজন নেই
।
যদি আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং এর যে কোন একটা স্পেসিফিক সেক্টর শিখতে পারেন এবং এটি
নিয়ে কাজ করতে পারেন তাহলে আপনি প্রতি মাসে গড়ে ৮০০০০ হাজার থেকে ১০০০০০
লক্ষাধিক টাকা পর্যন্ত ইনকাম জেনারেট করতে পারবেন । বর্তমানে বাংলাদেশের বেশ কিছু
ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ সেন্টার রয়েছে যেখানে খুব সফলভাবে ডিজিটাল মার্কেটিং এর
ওপর প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়ে থাকে । যার মধ্যে রাজশাহীর সেরা ডিজিটাল মার্কেটিং
কোম্পানি অর্ডিনারি আইটি ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে অনেক ভালো প্রশিক্ষণ দিয়ে
থাকে ।
গ্রাফিক্স ডিজাইনঃ
ডিজিটাল মার্কেটিং এরপরে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে যে কাজের চাহিদা সবচেয়ে বেশি
সেটি হচ্ছে ডিজাইনিং বা গ্রাফিক্স ডিজাইন । ডিজিটাল মার্কেটিং এর মত গ্রাফিক্স
ডিজাইনাররা ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে একটি বড় জায়গা দখল করে নিয়েছে ।
আপনি যদি একজন ক্রিয়েটিভ ব্যক্তি হয়ে থাকেন তাহলে গ্রাফিক্স ডিজাইন আপনার
জন্য ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে সবচেয়ে বেস্ট একটি কাজ হতে পারে ।
ডিজাইন করার জন্য আপনাকে অনেক ক্রিয়েটিভ হতে হবে এবং নতুন নতুন চিন্তাভাবনা
নিয়ে আসতে হবে । চিন্তাভাবনা এবং ক্রিয়েটিভিটির মাধ্যমে আপনার ভেতরের
অনুভূতিগুলোকে নিজের ডিজাইনের মধ্যে প্রকাশ করে তোলাই হচ্ছে গ্রাফিক্স ডিজাইন ।
বর্তমান সময়ে একজন প্রফেশনাল গ্রাফিক্স ডিজাইনার একটি লোগো ডিজাইন করে দিয়ে
প্রতি ঘন্টায় প্রায় ৬০ থেকে ৭০ ডলার পর্যন্ত বায়ারদের কাছে থেকে চার্জ করে
থাকে ।
ভিডিও এডিটিংঃ
বর্তমান সময়ে আরও একটি জনপ্রিয় এবং ডিমান্ডেবল ফ্রিল্যান্সিং কাজ হচ্ছে ভিডিও
এডিটিং । যদিও ভিডিও এডিটিং কয়েক বছর পূর্বে অতটাও জনপ্রিয় ছিল না তবে
বর্তমান সময়ে ভিডিও এডিটিং এর জনপ্রিয়তা বেড়েছে। আমরা বিভিন্ন সোশ্যাল
মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম যেমন ফেসবুক, ইউটিউবে বিভিন্ন শর্ট ভিডিও গুলো দেখতে পছন্দ
করি ।
আর এই শর্ট ভিডিও গুলোই আপনার আমার মত ভিডিও এডিটররা এডিট ও ডিজাইন করে থাকেন ।
বর্তমান সময়ে যেভাবে শর্ট ভিডিও জনপ্রিয়তা পাচ্ছে সে অনুযায়ী অনুমান করা
যায় আগামী বছরগুলোতে এই ভিডিও এডিটিং এর কর্মক্ষেত্র আরও ব্যাপক হারে বাড়বে ।
কন্টেন্ট রাইটিংঃ
ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি ২০২৫ এর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং সহজ
একটি কাজ হচ্ছে কন্টেন্ট রাইটিং । ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের কাজগুলোর মধ্যে
কন্টেন্ট রাইটিং হচ্ছে অন্যতম । আপনি যদি কন্টেন্ট রাইটিং বা বাংলা আর্টিকেল
রাইটিং করার মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং করতে না পারেন তাহলে আপনি ফ্রিল্যান্সিং
সেক্টরের অন্য কোন কাজ করতে পারবেন না ।
কারণ আমি আগেই বলেছি যে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের সবচেয়ে সহজ কাজটি হচ্ছে
কন্টেন্ট রাইটিং বা বাংলা আর্টিকেল রাইটিং । এক্ষেত্রে আপনি যে কোন ভাষায়
কন্টেন্ট রাইটিং করতে পারেন সেটা বাংলাতে হতে পারে আবার ইংরেজিতেও হতে পারে ।
এছাড়াও কন্টেন্ট রাইটিং করে আপনার নিজের ওয়েবসাইট থেকে ব্লগিং করার মাধ্যমেও
ইনকাম করতে পারেন ।
ওয়েবসাইট ডিজাইনঃ
ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে আরো একটি চাহিদা পূর্ণ কাজ হচ্ছে ওয়েব ডিজাইন । বর্তমান
সময়ে ওয়েব ডেভলপারদের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে । বিভিন্ন কর্পোরেট কোম্পানি ও
প্রতিটি বিজনেসের এখন একটি করে নিজস্ব ওয়েবসাইট থাকে । আর এই ওয়েবসাইটগুলো
ডিজাইন করে থাকে ওয়েব ডিজাইনাররা । তাই আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের একজন
ভালো ওয়েব ডিজাইনার হতে পারেন তাহলে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস ওয়েবসাইটে
আপনার অনেক ডিমান্ড থাকবে ।
অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্টঃ
বর্তমানে অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট করে ফ্রিল্যান্সিং করে ঘরে বসে ভাল পরিমাণে
একটা ইনকাম জেনারেট করা যায় । অথবা মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করে আপনারা ঘরে
বসে ইনকাম করতে পারেন । আমরা প্লে স্টোরে বিভিন্ন অ্যাপ পেয়ে থাকি এই অ্যাপ
গুলো আপনার আমার মত মানুষ যারা অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট এর ওপর ফ্রিল্যান্সিং
কোর্স করে অ্যাপ্লিকেশন ডেভলপার হিসেবে একজন দক্ষ ফ্রিল্যান্সার হয়ে উঠেছে
তারাই তৈরি করে থাকে ।
আর সেই অ্যাপগুলোকে প্লে স্টোরে আপলোড করে গুগল এডসেন্সের অ্যাড দেখানোর
মাধ্যমে সেখান থেকে কিন্তু খুব ভালো পরিমাণে ইনকাম জেনারেট করে থাকে । গুগল
এডসেন্স কি এ বিষয়ে জানতে এই লিংকে ক্লিক করুন ।
ডাটা এন্ট্রিঃ
ফ্রিল্যান্সিং এ আরও একটি চাহিদা সম্পন্ন কাজ হচ্ছে ডাটা এন্ট্রি । যদিও ডাটা
এন্ট্রি কাজটি এখন আর আগের মত অনেকেই করতে চায় না । তবে একজন নতুন ফ্রিল্যান্স
হিসেবে আপনি ডাটা এন্ট্রি দিয়ে আপনার ফ্রিল্যান্সিংয়ের ক্যারিয়ার শুরু করতে
পারেন । কেননা ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের সবচেয়ে সহজ কাজগুলোর মধ্যে ডাটা এন্ট্রি
ও একটি সহজ কাজ । আপনি যদি শুধুমাত্র ভালো টাইপিং করতে পারেন এবং microsoft
excel বা microsoft word সম্পর্কে আপনার ভালো ধারণা থাকে সেক্ষেত্রে আপনি ডাটা
এন্ট্রি দিয়ে আপনার ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার শুরু করতে পারেন ।
এছাড়াও উপরের কাজগুলো বাদেও আপনি আরো বেশ কিছু কাজ করার মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং
সেক্টর থেকে ভালো ভালো ইনকাম জেনারেট করতে পারবেন এবং এইসব কাজগুলোর চাহিদা
ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে অনেক বেশি । যেমন,
- সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন
- সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার
- ভয়েস ওভার
- কপিরাইটিং
- ট্রান্সক্রাইবিং
- ভার্চুয়াল এসিস্ট্যান্ট
- ট্রান্সলেটিং
- ডাটা এনালাইসিস
- ইউএক্স / ইউ আই ডিজাইনার
বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি
বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সবথেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি আসুন এই বিষয়টি
নিয়ে একটু আলোচনা করা যাক । আমরা এর আগেই বলেছি বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং হচ্ছে
সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি অনলাইন মাধ্যম পেশা । ফ্রিল্যান্সিং হচ্ছে মুক্ত পেশা
অর্থাৎ ফ্রিল্যান্সিং করতে গিয়ে আপনি কারো অধীনে কাজ না করে নিজের সুবিধা ও
স্বাধীনত নিয়ে কাজ করতে পারবেন ।
আপনার যখন ইচ্ছা আপনি তখন কাজ করবেন এবং যখন ইচ্ছা হবে না তখন কাজ করবেন না এই
স্বাধীনতাটা আপনি একমাত্র ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরেই পাবেন । ফ্রিল্যান্সিং
সেক্টরে প্রথমে আপনি ইনকাম করার স্বাধীনতা । আপনি হিউজ পরিমাণ টাকা
ফ্রিল্যান্সিং করার মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন ।
এখন আপনাদের অনেক প্রশ্ন জাগতে পারে যে ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি
২০২৫ এই বিষয়টা তো জানলাম কিন্তু বর্তমান সময় ফ্রিল্যান্সিং এর সবচেয়ে
ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনগুলো এই বিষয়গুলো যদি বলতো তাহলে ভালোই হতো । তাহলে আসুন
এবার জেনে নেওয়া যাক যে সবচেয়ে বেশি যে সেক্টরগুলোতে আপনি কাজ করতে পারবেন
ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস ওয়েবসাইট গুলোতে সেই বিষয়গুলো কি কি?
- রিজিউম এবং কভার লেটার রাইটার (Resume and Cover Letter Writer)
- ই বুক রাইটার (E book writer)
- এডিটর (the editor)
- মার্কেট রিসার্চ (Market research)
- লিড জেনারেশন (Lead generation)
- ঘোস্ট রাইটার (Ghost writer)
- ফিকশন রাইটার (Fiction writer)
- বুক ডিজাইনার (Book designer)
- কার্টুন আর্টিস্ট (Cartoon artist)
- ওয়ার্ডপ্রেস এক্সপার্ট (WordPress Expert)
- এসইও কনসালটেন্ট (SEO Consultant)
- কিওয়ার্ড রিসার্চ (Keyword research)
- ড্রপ শিপিং (Drop shipping)
- ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট (Virtual Assistant)
অনলাইনে কোন কাজের চাহিদা সবচেয়ে বেশি
অনলাইনে কোন কাজের চাহিদা সবচেয়ে বেশি বর্তমান সময়ে অনলাইনে ইনকাম করাকে
ফ্রিল্যান্সিং করে ইনকাম করাকেই বোঝানো হয় । আমরা ওপরে আপনাদের সঙ্গে বেশ কিছু
টপিক নিয়ে আলোচনা করেছি এবং বেশ কিছু ডিমান্ডেবল ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের কাজ
আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি । আপনি যদি উপরের সেকশন গুলো পড়ে থাকেন তাহলে আশা
করছি আপনি জানতে পেরেছেন যে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে কোন কাজের চাহিদা বর্তমানে
সবচেয়ে বেশি ।
পড়াশোনার পাশাপাশি আপনি ঘরে বসে অনলাইনে ইনকাম করতে পারেন এবং নিজেই নিজের খরচ
চালিয়ে স্বাবলম্বী হতে পারেন । এছাড়াও আপনি খুব ক্ষুদ্র কাজ দিয়ে
ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার মাধ্যমে একজন বড় উদ্যোক্তাও হয়ে উঠতে পারেন । আপনি
যদি মন স্থির করে নিজের ইচ্ছা শক্তিকে দৃঢ় প্রতিপন্ন করে নিয়ে কাজ করে যান
তাহলে অবশ্যই আপনি ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে সফলতা পাবেন ।
ফ্রিল্যান্সিং এ আয়ের দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান কত
ফ্রিল্যান্সিং এর আয়ের দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান কত বা ফ্রিল্যান্সিং এ
বাংলাদেশের অবস্থান ২০২৫ এই বিষয়টি জানার জন্য আপনারা অনেকে সোশ্যাল মিডিয়া
প্ল্যাটফর্মে সার্চ করে থাকেন । দেখুন বর্তমান সময়ে ফ্রিল্যান্সারদের সংখ্যা
হুহু করে বেড়েই চলেছে সেই সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমাদের বাংলাদেশেও কিন্তু পিছিয়ে
নেই ।
সাম্প্রতিক একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে ফ্রিল্যান্সারদের সংখ্যা দিক থেকে
যুক্তরাষ্ট্র হচ্ছে সবচেয়ে এগিয়ে এবং আমাদের বাংলাদেশের অবস্থান রয়েছে
বিশ্বে ২৯ তম । তাহলে আপনি বুঝতেই পারছেন যে কি পরিমান ডলার প্রতিবছর আমাদের এই
সফল ফ্রিল্যান্সাররা বাংলাদেশের রেমিটেন্স আকারে নিয়ে আসছে ।
যেহেতু আমাদের বাংলাদেশী ফ্রিল্যান্সারদের মধ্যে ট্যালেন্ট অনেক বেশি তাই
মার্কেটপ্লেস গুলোতে বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সারদের কদরও অনেক বেশি । বাংলাদেশের
ফ্রিল্যান্সাররা খুব দক্ষতার সঙ্গে তাদের ক্লাইন্টদের হ্যান্ডেল করে থাকে এবং
ক্লায়েন্টের কাজগুলো সম্পাদনা করে থাকে তাই এজন্য মার্কেটপ্লেসে বাংলাদেশ
ফ্রিল্যান্সারদের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে ।
ডিজিটাল মার্কেটিং এর কোন কোন কাজের চাহিদা বেশি
ডিজিটাল মার্কেটিং এর কোন কোন কাজের চাহিদা বেশি? বর্তমান ফ্রিল্যান্সিং
সেক্টরে সবচেয়ে ডিমান্ডেবল কাজের মধ্যে অন্যতম শীর্ষ রয়েছে ডিজিটাল মার্কেটিং
। যেহেতু ডিজিটাল মার্কেটিং অনেক বড় একটা প্লাটফর্ম বা ইন্ডাস্ট্রি এইখানে
অনেকগুলো সেক্টর একসঙ্গে যুক্ত করে তাই এই প্লাটফর্মটির নাম ডিজিটাল মার্কেটিং
হিসেবে নামকরণ করা হয়েছে ।
ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের মধ্যে যেমন অনেকগুলো সেক্টর রয়েছে ঠিক তেমনি ডিজিটাল
মার্কেটিং এর মধ্যে বেশ কিছু জনপ্রিয় কাজ রয়েছে যেগুলো আপনি শেখার মাধ্যমে
খুব সহজে ফ্রিল্যান্সিং জগতে একজন দক্ষ ফ্রিল্যান্সার হিসেবে ক্যারিয়ার গড়ে
তুলতে পারবেন এবং ফ্রিল্যান্সিং করে প্রতি মাসে একটি ভালো পরিমাণের ইনকাম
জেনারেট করতে পারবেন । তাহলে আসুন এক নজরে আমরা দেখে নেই যে ডিজিটাল মার্কেটিং
এর কোন কোন কাজের চাহিদা বেশি ২০২৫ সালে ।
- সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন
- সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং
- গুগল এডসেন্স
- ফেসবুক মার্কেটিং
- ব্লগিং
- কন্টেন্ট রাইটিং
- ওয়েবসাইট ডিজাইন
- গুগল এডভার্টাইজমেন্ট
- ইউটিউব মার্কেটিং
- ভিডিও এডিটিং
- ইমেইল মার্কেটিং
- লিড জেনারেশন
- ডাটা এন্ট্রি
- এফিলিয়েট মার্কেটিং, ইত্যাদি।
ফ্রিল্যান্সিং এ কতগুলো সেক্টর আছে কি কি
ফ্রিল্যান্সিং এর কতগুলো সেক্টর আছে কি কি? এ প্রশ্নের উত্তরে আমি বলব
ফ্রিল্যান্সিং এর সেক্টরের কোন অভাব নেই । বর্তমান সময়ে এবং ভবিষ্যতে আরো
বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং এর সেক্টর উন্মোচন হবে । ফ্রিল্যান্সিং এর সেক্টর নির্ভর
করে আপনার উপর, আপনি কোন ধরনের কাজ করতে পছন্দ করেন বা আপনি কোন ধরনের কাজ বেশি
পারদর্শী বা দক্ষ সেই বিষয়গুলোর উপর আপনি ফ্রিল্যান্সিংয়ের যে কোন একটি
সেক্টর নির্বাচন করতে পারেন ।
যেহেতু ডিজিটালাইজেশনের যুগে আমরা বসবাস করছি তাই নিত্য নতুন জিনিস এবং একই
জিনিসের বিভিন্ন ভেরিয়েন্ট আসবে এটাই স্বাভাবিক । নিজেকে সবসময় এইসব আপডেট
জিনিস গুলোর সঙ্গে ঝালাই করে নিতে হবে এবং আগানোর জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে ।
তাহলে চলুন নিচে দেখে নেই ফ্রিল্যান্সিং এ কতগুলো জনপ্রিয় সেক্টর গুলো কি কি?
- ডিজিটাল মার্কেটিং
- গ্রাফিক্স ডিজাইন ভিডিও এডিটিং
- ওয়েব ডেভেলপমেন্ট
- কন্টেন্ট মার্কেটিং
- অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ অ্যাপ্লিকেশন
- আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্ট
ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি নিয়ে জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্নঃ বাংলাদেশে কত লক্ষ অ্যাক্টিভ ফ্রিল্যান্সার রয়েছে?
উত্তরঃ ২০২৪ সালে বর্তমানে বাংলাদেশে একটি ফ্রিল্যান্সার সংখ্যা হচ্ছে ১০ লক্ষ।
প্রশ্নঃ ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে নারী পুরুষের হার কত?
উত্তরঃ ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে নারী পুরুষের হার হল নারী ৫৭% পুরুষ ৪৩%।
প্রশ্নঃ বর্তমানে সবচেয়ে জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর কোনটি?
উত্তরঃ ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে বর্তমানে সবচেয়ে জনপ্রিয় সেক্টর গুলো হচ্ছে
ডিজিটাল মার্কেটিং, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, গ্রাফিক্স ডিজাইন, ভিডিও এডিটিং,
কন্টেন্ট মার্কেটিং ইত্যাদি।
ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ ভর্তি বিজ্ঞপ্তি ২০২৫
ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ ভর্তি বিজ্ঞপ্তি ২০২৫ এই কথা জানতে চাই যারা ফ্রিতে
ফ্রিল্যান্সিং কোর্স করতে চাই অর্থাৎ সরকারি বিভিন্ন উদ্যোগে অনেক প্রতিষ্ঠান
রয়েছে যারা ফ্রিল্যান্সিং কোর্স করিয়ে থাকে বা প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে । আমার
মতে এইসব প্রশিক্ষকদের থেকে বা সরকারি প্রশিক্ষকদের থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে আপনি
কখনো ফ্রিল্যান্সার হতে পারবেন না এক্ষেত্রে আপনার সময় এবং শ্রম দুটাই বৃথা
যাবে ।
উচিত হবে একজন দক্ষ ফ্রিল্যান্সারের কাছে ফ্রিল্যান্সিং কোর্সগুলো শেখা ।
বাংলাদেশের বেশ কিছু জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং সেন্টার রয়েছে যেগুলো সম্পর্কে
আপনি google করে, youtube থেকে বিস্তারিত জেনে নিতে পারেন । সবথেকে ভালো হয়
আপনি যদি google সার্টিফাইড ফ্রিল্যান্সিং সেন্টার থেকে প্রশিক্ষণ নেন তাহলে
আপনি দ্রুত সফলতার মুখ দেখতে পাবেন, আপনাকে ব্যর্থও হতে হবে না ।
ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে নারী পুরুষের অংশগ্রহণের শতকরা হার কত ২০২৫
ফ্রিল্যান্সিং এমন একটি পেশা যে পেশায় শুধুমাত্র আমরা ছেলেরা নয় বরং মেয়েরাও
এখন এই সেক্টরে ব্যাপক উন্নতি সাধন করেছে । বর্তমানে মেয়েরা ফ্রিল্যান্সিং
সেক্টরে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে । উপরে আমি আপনাদেরকে জানিয়েছি যে
বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং জগতে টপ রেটেড ফ্রিল্যান্সারদের মধ্যে ৬৪%
ফ্রিল্যান্সারী হচ্ছে বাংলাদেশী ফ্রিল্যান্সার আর এর মধ্যে ৯ পার্সেন্ট জায়গা
দখল করে রয়েছে মহিলা ফ্রিল্যান্সাররা ।
তাহলে বুঝতে পারছেন যে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে আস্তে আস্তে মেয়েদের সংখ্যা ও
ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে এমনকি অনেক সময় দেখা যায় যে ছেলেদের থেকে মেয়েরাই
অনেক বেশি ইনকাম জেনারেট করছে । কেননা ছেলেদের চাইতে মেয়েরা অনেক বেশি
ধৈর্যশীল । ফ্রিল্যান্সিং এমন একটি সেক্টর যেখানে আপনি স্বাচ্ছন্দেহে আপনার
স্বাধীনতার সহিত এই সেক্টরে কাজ করে ইনকাম করতে পারবেন । তবে এক্ষেত্রে আপনাকে
ধৈর্যশীল ব্যক্তি হতে হবে ।
লেখকের শেষ কথাঃ ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি ২০২৫
প্রিয় পাঠক ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি ২০২৫ নিয়ে আজকের এই
আর্টিকেলে আমি যে বিষয়গুলো আপনাদের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা করলাম আশা করছি
আপনারা বিষয়গুলো বুঝতে পেরেছেন । কোন কিছু শিখতে গেলে বা কোন বিষয়ে কাজ করতে
আসলে আগে সেই বিষয়টি সম্পর্কে ভালো মতো ধারণা নিতে হবে এবং সেই বিষয়টিতে বা
সেই সেক্টরে বর্তমান সময়ে কোন কোন কাজগুলোর চাহিদা বেশি রয়েছে সেই বিষয়গুলো
কিন্তু আপনাকে মাথায় নিয়ে তারপর কাজ করা শুরু করতে হবে তাহলে আপনি সফলতার মুখ
দেখবেন ।
প্রিয় পাঠক আমাদের আর্টিকেলটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে আর্টিকেলটি
আপনার বন্ধু-বান্ধবদের সাথে শেয়ার করতে পারেন । আমরা নিয়মিত আমাদের
ওয়েবসাইটে এই ধরনের অনলাইনে ইনকাম রিলেটেড আর্টিকেল পাবলিশ করে থাকি । আপনি এই
ধরনের অনলাইন ইনকাম রিলেটেড তথ্য সম্পর্কে জানতে যদি আগ্রহী হয়ে থাকেন তাহলে
আমাদের ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করতে পারেন ধন্যবাদ ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url