জাফরানের ১০ উপকারিতা ও অপকারিতা - জাফরান ব্যবহারের নিয়ম

জাফরানের উপকারিতা ও অপকারিতা কি? তা আমরা অনেকেই জানিনা । কিন্তু আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য জাফরান গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান । জাফরান ব্যবহারের উপকারিতা এবং অপকারিতা কি তা জানার পরে জাফরান ব্যবহারের নিয়ম জেনে নিতে হবে ।
জাফরান মূলত একটি ঔষধি গুন সম্পূর্ণ মসলা জাতীয় খাদ্য । জাফরানের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি উপাদান । খাওয়ার আগে জাফরানের উপকারিতা ও অপকারিতা কি? সে সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে তারপরে খাওয়া উচিত । এছাড়া জাফরান ব্যবহারের নিয়ম সম্পর্কেও আলোচনা হবে ।

পেজ সূচিপত্রঃ জাফরানের ১০ উপকারিতা ও অপকারিতা - জাফরান ব্যবহারের নিয়ম

জাফরান এর উপকারিতা

জাফরানের উপকারিতা ও অপকারিতা কি? এই বিষয়ে এখন আলোচনা করা হবে । যেহেতু আমরা অনেকেই দুধ এবং কফির সাথে জাফরান খেয়ে থাকি তাই আমাদের এই বিষয়গুলো জেনে রাখা জরুরি । বিভিন্ন খাবার রয়েছে যেগুলো আমরা খাই কিন্তু এর উপকারিতা সম্পর্কে আমাদের তেমন কোন জ্ঞান বা ধারণা নেই । যে কোন খাবার খাওয়ার আগে অবশ্যই সে খাবার সম্পর্কে ধারণা নিয়ে খাওয়া বুদ্ধিমানের একটি কাজ ।
প্রথমে আমরা জাফরান খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানব । প্রতিটি খাবারের রয়েছে বেশ কিছু উপকারিতা আবার অপকারিতা রয়েছে । যেহেতু আমরা উপকারিতা গুলো গ্রহণ করি এবং অপকারিতাগুলো ত্যাগ করি তাই প্রথমে জাফরানের উপকারিতা গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেব ।
  • হজম শক্তি বৃদ্ধি করে
  • রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে
  • দেহে নতুন কোষ গঠন করে
  • অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা দূর করে
  • মানসিক সমস্যা দূর করে
  • মেয়েদের মাসিকের সমস্যা দূর করে
  • শ্বাস-প্রশ্বাস সমস্যা দূর করে
  • জ্বর কমাতে সাহায্য করে
  • ঘুমের সমস্যা দূর করে
  • দাঁতের সমস্যা দূর করে
  • দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধি করে
  • খারাপ কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করে
  • কিডনির সমস্যা দূর করে
  • গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর করে

হজম শক্তি বৃদ্ধি করেঃ 

হজম শক্তি নষ্ট হয়ে গেলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা যায় । সাধারণত হজমে সমস্যা হলে কোষ্ঠকাঠিন্যসহ আরও বেশ কিছু জটিল সমস্যা হয়ে থাকে । যদি আপনি নিয়মিত জাফরান খেতে পারেন তাহলে এটি আপনার হজমের সমস্যা দূর করবে ।

রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করেঃ 

আমরা অনেকেই রক্তচাপের সমস্যায় ভুগে থাকি । বিশেষ করে প্রাপ্তবয়স্করা এ সমস্যায় বেশি ভুগে থাকেন । যদি আপনি নিয়মিত জাফরান খেতে পারেন তাহলে এটি আপনার শারীরিক সমস্যা দূর করবে এবং এর মধ্যে থাকা পটাশিয়াম উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করবে ।

দেহে নতুন কোষ গঠন করেঃ 

আমাদের দেহে নতুন কোষ গঠনের জন্য সহযোগিতা করে বিভিন্ন ধরনের খাদ্য উপাদান এগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো পটাশিয়াম । আর জাফরান এর মধ্যে রয়েছে পটাশিয়াম যা আমাদের শরীরে নতুন কোষ গঠনে এবং ক্ষতিগ্রস্ত এবং মৃত কোষগুলো কে পুনরায় জীবিত করতে সহায়তা করে ।

অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা দূর করেঃ 

চিন্তা আমাদের সাথে অতপ্রতভাবে জড়িত । যদি আপনি চিন্তা মুক্ত থাকতে চান এবং অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা দূর করতে চান তাহলে আপনাকে দুধ এবং জাফরান এর মিশ্রন নিয়মিত পান করতে হবে ।

মানসিক সমস্যা দূর করেঃ 

আমরা অনেকেই মানসিক সমস্যায় ভুগে থাকি । আপনি যদি মানসিক সমস্যা দূর করতে চান তাহলে নিয়মিত জাফরান খেতে পারেন । এর মধ্যে থাকা বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান আমাদের মানসিক সমস্যা দূর করে ।

মেয়েদের মাসিকের সমস্যা দূর করেঃ 

যখন মেয়েদের মাসিক হয় তখন বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা যায়। এগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো পেটব্যথা। মেয়েদের মাসিকের সমস্যা দূর করতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে এই জাফরান ।                          

শ্বাস-প্রশ্বাস সমস্যা দূর করেঃ

অনেক সময় বিভিন্ন কারণে আমাদের শ্বাস-প্রশ্বাসের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হয়ে থাকে যার কারণে অতিরিক্ত পরিমাণে কাশি এবং ভেতরে কফ জমা হয়ে থাকে যার ফলে শ্বাস নিতে সমস্যা হয় এবং শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা দেখা দেয় । এই সমস্যাগুলো সমাধানে আমরা নিয়মিত হালকা গরম পানির সাথে জাফরান খেতে পারি ।

জ্বর কমাতে সাহায্য করেঃ 

বিভিন্ন কারণে আমাদের শরীরে জ্বর এসে থাকে এগুলোর মধ্যে অন্যতম কারণ হলো শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়া বা শরীরে সঠিক পরিমাণে অ্যান্টিভাইরাস তৈরি না হওয়া । যদি আপনি নিয়মিত জাফরান খেতে পারেন তাহলে এটি আপনার শরীরের অ্যান্টিভাইরাসকে তৈরি হতে সাহায্য করবে এবং অতিরিক্ত জ্বর কমাতে সহায়তা করবে ।

ঘুমের সমস্যা দূর করেঃ 

বিভিন্ন কারণে আমাদের ঘুমের অনেক ঘাটতি হয় । যদি আপনার ঘুমের সমস্যা হয় অর্থাৎ সঠিকভাবে সঠিক সময়ে ঘুম না হয় তাহলে আপনি জাফরান খেতে পারেন এতে করে আপনার ঘুমের সমস্যা দূর হবে ।

দাঁতের সমস্যা দূর করেঃ 

আমরা সাধারণত দাঁতের বিভিন্ন ধরনের সমস্যায় ভুগে থাকি । যেমন, দাঁতের গোড়ায় ব্যথা, দাঁতের গোড়া দিয়ে রক্ত ও পুঁজ পড়া ইত্যাদি । জাফরান একটি ঔষধি গুন সম্পন্ন মসলা জাতীয় খাবার । এটি খাবার ফলে আপনার দাঁতের সমস্যাগুলো দূর হবে এবং আপনার দাঁতের গোড়া আরো শক্ত হবে ।

দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করেঃ 

যদি দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধি করতে চান তাহলে জাফরান খান । কারণ বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে জাফরান এমন এক ঔষধি গুন সম্পন্ন উপাদান যা দৃষ্টি শক্তি বাড়াতে এবং চোখের ছানি পড়া রোধ করতে সাহায্য করে ।

খারাপ কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করেঃ 

আমাদের শরীরে যদি কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যায় তাহলে বিভিন্ন ধরনের রোগ দেখা দিতে পারে । এগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো হার্টের সমস্যা, উচ্চ রক্তচাপ জনিত সমস্যা ইত্যাদি । তাই আপনার শরীর থেকে খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে নিয়মিত জাফরান সেবন করতে পারেন ।

কিডনির সমস্যা দূর করেঃ 

আমাদের শরীরে গুরুত্বপূর্ণ  অঙ্গের ভিতর একটি হল কিডনি । যদি কিডনির সমস্যা হয় তাহলে বিভিন্ন ধরনের রোগ শরীরে বাসা বাঁধে । যদি নিয়মিত জাফরান খেতে পারেন তাহলে এটি আপনার কিডনির সমস্যা দূর করবে এবং কিডনিকে সুস্থ রাখবে ।

গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর করেঃ 

আমরা সাধারণত যে সকল সমস্যায় বেশি ভুগে থাকি তার মধ্যে অন্যতম একটি সমস্যা হল গ্যাস্ট্রিক । যদি আপনি আপনার গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর করতে চান তাহলে নিয়মিত জাফরান সেবন করা শুরু করুন ।

জাফরান এর অপকারিতা কি

জাফরান এর উপকারিতা অপকারিতা কি? যেহেতু এই বিষয়ে পূর্বে আলোচনা করেছি সেহেতু আমাদের উপকারিতার পাশাপাশি অপকারিতা সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নিতে হবে । অনেক সময় উপকারিতা জেনেই আমরা যে কোন খাবার খেয়ে ফেলি কিন্তু যে খাবারের উপকারিতা রয়েছে তার কিছু অপকারিতা রয়েছে এই বিষয় অবশ্যই আমাদের মাথায় রাখতে হবে ।

জাফরান ব্যবহার আমাদের জন্য অনেকটা নিরাপদ। এক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই সঠিক নিয়মে জাফরান ব্যবহার করতে হবে । যদি আমরা এর সঠিক ব্যবহার সম্পর্কে না জানি তাহলে বেশ কিছু সমস্যা দেখা দিতে পারে । যদি অতিরিক্ত পরিমাণে জাফরান গ্রহণ করা হয় তাহলে অনেক সময় এলার্জিজনিত সমস্যাও দেখা দিতে পারে । এছাড়া পেট ব্যথা পেটের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা এবং বমি পর্যন্ত হতে পারে ।

জাফরান ব্যবহারের নিয়ম

জাফরান ব্যবহারের নিয়ম জেনে তারপরে জাফরান ব্যবহার করতে হবে । আমরা ইতোমধ্যে জেনেছি যে জাফরান আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী একটি উপাদান । জাফরানের উপকারিতা ও অপকারিতা কি? এই বিষয়েও উপরে আলোচনা করা হয়েছে । যদি আপনি নিয়মিত জাফরান সেবন করে থাকেন তাহলে আপনাকে এই বিষয়গুলো সম্পর্কে জেনে রাখতে হবে ।

বিভিন্ন রকম ভাবে জাফরানের ব্যবহার করা যায় । আপনি যদি স্বাস্থ্যগত উপকারিতা পেতে চান তাহলে জাফরান খেতে পারেন । এক্ষেত্রে আপনি দুধের সঙ্গে জাফরান এর নির্যাস মিশিয়ে খেতে পারেন । জাফরান এর মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম এবং পুষ্টি উপাদান যা আমাদের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে । এছাড়া জাফরান আমাদের শরীরের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকেও বাড়াতে সহায়তা করে ।

আপনি যদি আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে চান তাহলে জাফরান সেবন করতে পারেন । নিয়মিত জাফরান সেবন করলে আপনার ত্বকের দাগ দূর হবে এবং তক হবে উজ্জ্বল ও নরম । জাফরান ব্যবহার করার আগে ঠান্ডা দুধের সঙ্গে কয়েক মিনিট জাফরান ভিজিয়ে রাখতে হবে এরপরে পরিষ্কার মুখে এই মিশ্রণটি ব্যবহার করতে হবে ।

জাফরান দুধের উপকারিতা

জাফরান দুধের প্রচুর পরিমাণে উপকারিত রয়েছে । আমরা সবাই জানি যে দুধ হচ্ছে পুষ্টিকর একটি খাদ্য উপাদান । দুধের মধ্যে থাকা পুষ্টি উপাদান আমাদের স্বাস্থ্য ভালো রাখে এছাড়া শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে । যদি দুধের সাথে সামান্য পরিমাণে জাফরান এর মিশ্রণ মিশিয়ে সেবন করা যায় তাহলে এর উপকারিতা আরো বেড়ে যায় ।

দুধের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ক্যালসিয়াম ও পটাশিয়াম যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ । দুধের সাথে যদি জাফরান এর মিশ্রণ যোগ করা হয় তাহলে দুধের স্বাদ এবং গন্ধ আরো বেড়ে যায় । যদি আপনি জাফরান যুক্ত দুধ খেতে পারেন তাহলে আপনার শরীরে কোনরকম রোগ বাসা বাঁধতে পারবে না এবং আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে যাবে । জাফরান দুধের সেবনের ফলে এটি আপনার শরীরে শক্তি যোগাবে ।

এছাড়াও জাফরান এবং দুধ আমাদের ত্বকের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ । যদি কেউ ত্বকের রং উজ্জ্বল করতে চায় তাহলে টাকা খরচ করে কেমিক্যাল যুক্ত প্রোডাক্ট ত্বকে ব্যবহার না করে নিয়মিত দুধ এবং জাফরান ব্যবহার করতে পারে । এতে এই উপাদানটি ত্বকের মধ্যে গিয়ে ত্বকের কালো দাগ, ত্বকের মৃত কোষ গুলোকে দূর করবে এবং মৃত কোষগুলোকে পুনরায় জীবিত করে তুলতে সহায়তা করবে । 

জাফরান দুধ খাওয়ার নিয়ম

জাফরানের উপকারিতা ও অপকারিতা কি? এই বিষয়ে জেনেছি যদি আপনি এর উপকারিতা পেতে চান তাহলে জাফরান এবং দুধ একসাথে মিশিয়ে খেতে পারেন । জাফরান দুধ খাওয়ার বেশ কিছু নিয়ম রয়েছে । আমরা যদি এই নিয়মগুলো মেনে জাফরান দুধ খেতে পারি তাহলে আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক বেশি উপকারী হয় । এই উপকারিতাগুলো পেতে হলে প্রতিদিন দুধের সাথে জাফরানের মিশ্রণ সেবন করতে হবে ।
প্রথমে হালকা গরম দুধের মধ্যে কয়েকটি জাফরান ছেড়ে দিতে হবে । এরপরে কিছুক্ষণ পর যখন কেশর বা জাফরান তার রং ছেড়ে দেবে তখন দুধটি পান করতে হবে । প্রতিদিন রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে খেতে হবে এই মিশ্রণটি । নিয়মিত এই মিশ্রণটি সেবনের ফলে দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে এবং শরীরে শক্তি যোগাবে ।

জাফরান খেলে কি ত্বক ফর্সা হয়

জাফরান খেলে কি ত্বক ফর্সা হয়? অনেকেই এই বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাই । আমরা উপরে ইতোমধ্যে জাফরানের মধ্যে কোন কোন উপাদান রয়েছে এবং এর উপকারিতা কি সেই বিষয়ে আলোচনা করেছি । জাফরান হলো আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি ঔষধি মসলা জাতীয় উপাদান । যদি নিয়মিত জাফরান সেবন করা যায় তাহলে এটি আমাদের স্বাস্থ্য এবং আমাদের ত্বকের জন্য বেশ উপকারী হয়ে থাকে । 
জাফরান এর রয়েছে অনেক গুনাগুন এগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো এটি আমাদের ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে । জাফরানের মধ্যে যে উপকারিতা গুলো রয়েছে এগুলো আমাদের স্বাস্থ্যের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং বিভিন্ন ধরনের জটিল রোগ এমনকি ক্যান্সারের মত দুরারোগ্য রোগও দূর করে ।

রূপচর্চায় জাফরান ব্যবহার

জাফরানের উপকারিতা ও অপকারিতা কি? এই বিষয়ে আমরা উপরে পূর্বে জেনেছি । এখন আলোচনা করব রূপচর্চায় কিভাবে আপনি জাফরান ব্যবহার করবেন । বিশেষ করে নারীরা জাফরান খায় কম রূপচর্চায় ব্যবহার করে বেশি । রূপচর্চার জন্য যে সকল পণ্য রয়েছে এগুলোতে জাফরানের নির্যাস ব্যবহার করা হয় । তাহলে চলুন রূপচর্চাই জাফরান ব্যবহার করার নিয়ম সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক ।                                                                                                                                                  
১। চন্দন এবং জাফরান আমাদের ত্বকের জন্য অত্যন্ত কার্যকরী একটি মিশ্রণ । আমরা কমবেশি সকলেই জানি যে চন্দন আমাদের ত্বকের জন্য অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ । এর সাথে যদি সামান্য পরিমাণে ঔষধি গুন সম্পূর্ণ জাফরান মেশানো যায় তাহলে এর উপকারিতা দ্বিগুণ বেড়ে যায় । সাধারণত আমাদের মুখের মধ্যে থাকা বিভিন্ন ধরনের দাগ ও মৃত কোষ গুলোকে সহজে তুলতে চন্দন এবং জাফরান বেশ কার্যকরী ভূমিকা রাখে ।                                                                                                      
২। কাঁচা দুধ এবং জাফরান আমাদের ত্বকের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি মিশ্রণ । যদি আপনি নিয়মিত কাঁচা দুধ এবং জাফরান এর নির্যাস আপনার ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন তাহলে ত্বকের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা যেমন, ডার্ক সার্কেল, পিম্পল, মৃত কোষ এবং ইত্যাদি সমস্যা দূর করবে । কাঁচা দুধের মধ্যে অল্প কিছুক্ষণ সময় জাফরান ডুবিয়ে রাখলে এর রং দুধের মধ্যে ছেড়ে দেয় যা পরবর্তীতে ত্বকে ব্যবহার করতে হবে । এই মিশ্রণটি ত্বককে বেশ মসৃণ করে ।                                                                            
৩। জাফরান এবং বাদামের তেল দুধ এবং জাফরানের মত একই রকম ভাবে আমাদের ত্বকের জন্য অনেক বেশি উপকারী । যদি আপনি আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা আগের তুলনায় দ্বিগুণ বাড়াতে চান এবং ত্বকের মধ্যে থাকা বিভিন্ন কালো দাগ দূর করতে চান তাহলে আপনাকে নিয়মিত জাফরান এবং বাদামের তেল ত্বকে ব্যবহার করতে হবে । এই উপাদানটি ব্যবহার করলে ত্বক মসৃণ এবং উজ্জ্বল দেখাবে ।

জাফরান এর দাম

জাফরান এর দাম কত হতে পারে এই বিষয়ে একটা পরিষ্কার ধারণা নিয়ে নেবেন । কারণ আমরা অনেকেই কমবেশি জানি যে জাফরান এর দাম একদম আকাশচুম্বী । সবার পক্ষে জাফরান কেনা সম্ভব নয় । বাংলাদেশের খুব কম জায়গায় রয়েছে যেখানে জাফরান চাষ করা হয় । তবে ভারতের কাশ্মীর সহ আরো বিভিন্ন ধরনের স্থান রয়েছে যেখানে জাফরান চাষ করা হয় এবং অনেক ভালো জাফরান ফলে থাকে । জাফরানের মূল্য অনেক বেশি হয় । সাধারণত স্থান ভেদে কোথাও কোথাও দাম বেশি এবং কোথাও কোথাও দাম কম হয়ে থাকে । 

তবে জাফরানের গুনাগুনের উপর ভিত্তি করেও দাম নির্ধারিত হয় । তবে আপনি যদি বাংলাদেশের বাজারে এক গ্রাম জাফরান কিনতে যান তাহলে আপনাকে ৩০০ থেকে ৬০০ টাকা পর্যন্ত গুনতে হবে । তাহলে আমরা ১ কেজি জাফরানের দাম ৩ থেকে ৫ লক্ষ টাকা আনুমানিক ধরে নিতে পারি ।                    

লেখক এর শেষ কথা     

জাফরানের উপকারিতা ও অপকারিতা কি? এই বিষয়ে আলোচনা শুরু করে জাফরান সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আজকের এই আর্টিকেলটিতে আলোচনা করা হয়েছে । আপনি যদি জাফরান খেয়ে থাকেন এবং এই সম্পর্কে বিস্তারিত না জেনে থাকেন তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি শুধু আপনার জন্যই ছিল । আশা করি আপনারা জাফরানের সঠিক ব্যবহার এবং ঔষধি গুন সম্পন্ন মসলা জাতীয় খাবার জাফরান এর সঠিক গুনাগুন সম্পর্কে জানতে পেরেছেন । 

প্রিয় বন্ধুগণ এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ । আমরা নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইটে এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ এবং তথ্যমূলক স্বাস্থ্য সুরক্ষা রিলেটেড আর্টিকেল পাবলিশ করে থাকি । এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ এবং তথ্যসমৃদ্ধ আর্টিকেল পেতে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইডটি ভিজিট করতে পারেন ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url