ফাইভার গিগ প্রমোট করার ১৫টি টিপস
ফাইভার গিগ প্রমোট করার যে ১৫ টি টিপস আমাদের জেনে রাখা দরকার । ফাইভারে গিগ
প্রমোট করা নতুনদের জন্য বিষয়টা অনেকটা চ্যালেঞ্জিং হয়ে যায় । ফাইভারে সঠিক
নিয়মে গিগ প্রমোট না করতে পারলে কিংবা প্রমোট করার সহজ কৌশল না জানা থাকলে আপনার
গিগ হয়ত অনেক বায়ারেরই নজরে পড়বে না ।
যার ফলে ফাইভারে আপনার কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই কমে যাবে । তাই এই সমস্যা
এড়ানোর জন্য আমরা আজকের এই আর্টিকেলে ফাইভার গিগ প্রমোট করার ১৫ টি টিপস নিয়ে
আপনাদের সঙ্গে আলোচনা করব যেগুলো ফলো করলে ফাইভারে আপনার গিগের প্রমোশন এ অনেক
সাহায্য করবে ।
![]() |
পেজ সূচিপত্রঃ ফাইভার গিগ প্রমোট করার ১৫টি টিপস
- ফাইভার গিগ প্রমোট করার ১৫ টি টিপস
- কিভাবে আকর্ষণীয় গিগ টাইটেল তৈরি করবেন
- ক্যাটাগরি ও সাব ক্যাটাগরি নির্বাচনের মাধ্যমে গিগের প্রোমোশন
- সঠিকভাবে কিওয়ার্ড অপটিমাইজেশন এবং রিসার্চ
- গিগের ডিসক্রিপশন আকর্ষণীয় করে তোলা
- প্যাকেজ অফারের মাধ্যমে গিগের প্রমোশন
- গিগের সঠিক মূল্য নির্ধারণের মাধ্যমে গিগের প্রমোশন
- গিগ প্রমোশনে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার
- রেগুলার আপডেট এর মাধ্যমে গিগ প্রমোট করা
- আমাদের শেষ কথা
ফাইভার গিগ প্রমোট করার ১৫ টি টিপস
ফাইভার একটি জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস প্ল্যাটফর্ম যেখানে দক্ষতা ও
সেবার ভিত্তিতে কাজ করা যায় । কিন্তু সঠিকভাবে প্রমোট না করলে গিগ গুলো বায়ারের
দৃষ্টির বাইরে থেকে যেতে পারে । এখানে ফাইবার গিগ প্রমোট করার ১৫টি টিপস দেওয়া
হল যা আপনার ফাইবারের গিগের ভিসিবিলিটি বাড়াতে এবং প্রমোট করতে সাহায্য করবেঃ
- প্রফেশনাল টাইটেলঃ আপনার গিগের টাইটেল কে প্রফেশনাল এবং আকর্ষণীয় করে তুলুন । এটি যেন পরিষ্কার ভাবে জানায় যে আপনি কি অফার করছেন আকর্ষণীয় টাইটেল ব্যবহার করলে সম্ভাব্য ক্রেতার মনোযোগ সহজে আকৃষ্ট হবে ।
- স্পষ্ট বর্ণনাঃ গিগের বর্ণনায় পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিন আপনি বায়ার কে কি অফার করছেন, কিভাবে গ্রাহকদের উপকার হবে এবং আপনি কেন সবার থেকে সেরা ।
- দৃষ্টি নন্দন থাম্নেলঃ উচ্চমানের ও আকর্ষণীয় থাম্নেল তৈরি করুন । এটি আপনার গিগের প্রথম দৃষ্টি । তাই এটি অবশ্যই প্রফেশনাল দের মত দেখাতে হবে ।
- কীওয়ার্ড ব্যবহারঃ আপনার গিগের বর্ণনাতে উপযুক্ত কিওয়ার্ড ব্যবহার করুন এতে করে সার্চ রেজাল্ট আপনার গিগের অবস্থান বাড়ায় ।
- গ্রাহক রিভিউঃ ইতিবাচক রিভিউ পাওয়া গুরুত্বপূর্ণ । তাই সন্তুষ্ট গ্রাহকদের থেকে রিভিউ সংগ্রহ করুন যা আপনার বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়ায় ।
- সামাজিক মিডিয়াঃ ইনস্টাগ্রাম ফেইসবুক ও টুইটারের মতো প্ল্যাটফর্মে আপনার গিগ প্রচার করুন । এর মাধ্যমে আপনার কাজ দেখতে পাবেন ।
- ভিডিও ব্যবহারঃ একটি প্রফেশনাল ভিডিও তৈরি করুন যেখানে আপনি আপনার সার্ভিস এবং কাজের উদাহরণ দেখাতে চান বা দেখাতে পারেন । ভিডিও দেখার মাধ্যমে গ্রাহকরা বা বায়াররা আপনার গিগ সম্পর্কে আরো বেশি জানবে এবং আপনাকে প্রফেশনাল মনে করবে ।
- মোবাইল অপটিমাইজেশনঃ গিগটি মোবাইলের জন্য অপটিমাইজ করা আছে কিনা নিশ্চিত করুন অনেক গ্রাহক মোবাইল ডিভাইস থেকে কাজ খোঁজে ।
- কোম্পানির সাথে অংশীদারিত্বঃ অন্যান্য ফ্রিল্যান্সার বা কোম্পানির সাথে অংশীদারিত্ব তৈরি করুন । একসাথে কাজ করলে নতুন গ্রাহক পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে ।
- ব্লগ লিখুনঃ ফাইবার ও আপনার কাজ নিয়ে ব্লগ লেখার মাধ্যমে ট্রাফিক জেনারেট করতে পারেন । এটি আপনার দক্ষতা প্রদর্শন এর একটি অন্যতম উপায় ।
- অন্যান্য গিগের সাথে লিংক করুনঃ আপনার অন্যান্য গিগের সাথে নতুন গিগটি লিংক করুন । এটি গ্রাহকদের আরো কাজ দেখতে এবং অর্ডার করার সুযোগ দেয় ।
- নিয়মিত আপডেটঃ গিগ নিয়মিত আপডেট করুন এবং নতুন কাজ যোগ করুন । এটি আপনার গিগের সতেজতা বজায় রাখে ।
- সামাজিক প্রমাণঃ আপনার কাজের উদাহরণ এবং সফল প্রকল্পগুলো শেয়ার করুন সামাজিক প্রমাণ হিসেবে এতে করে গ্রাহকদের আপনার উপর বিশ্বাস এবং আস্থা স্থাপন করবে ।
- প্রমোশনাল অফারঃ বিশেষ অফার চালু করুন যেমন প্রথম অর্ডারে ২০% ছাড় এটি নতুন গ্রাহকদের আকৃষ্ট করতে সাহায্য করে ।
- কাস্টমার সার্ভিসঃ অতিদ্রুত এবং কার্যকর কাস্টমার সার্ভিস দিন এবং সব সময় অনলাইন একটিভ থাকার চেষ্টা করুন । যদি আপনার কাজে সন্তুষ্ট হন তবে তারা পুনরায় কাজ করতে চাইবে ।
কিভাবে আকর্ষণীয় গিগ টাইটেল তৈরি করবেন
ফাইভার গিগ প্রমোট করার ১৫টি টিপস সম্পর্কে বিস্তারিত জানলে আপনি খুব সহজেই
আকর্ষণীয় গিগ টাইটেল তৈরি করতে পারবেন । আকর্ষণীয় গিগ টাইটেল তৈরি করার জন্য
অবশ্যই পরিষ্কার এবং সুনির্দিষ্ট শব্দ ব্যবহার করতে হবে । খেয়াল রাখতে হবে
যাতে কোন বানান ভুল না হয় । নিজের সাথে প্রাসঙ্গিক সঠিক কিওয়ার্ডগুলো
অন্তর্ভুক্ত করতে হবে । কিছু শক্তিশালী শব্দ ব্যবহার করতে হবে যেগুলো আপনার
দক্ষতাকে প্রমাণ করতে খুব দ্রুত সাহায্য করবে । আপনার কাছ থেকে কি কি ধরনের
সুবিধা কাস্টমাররা পাবে সেটি গিগের মধ্য দিয়ে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করতে হবে
।
অবশ্যই গিগ ছোট করে এবং সহজে পড়া যায় এমন ভাবে সাজাতে হবে যেন দ্রুত তা
ক্লায়েন্টের চোখে ধরে । কোন একটি গিগ সাজানোর সময় অবশ্যই নির্দিষ্ট একটি
লক্ষ্যবস্তুকে ইঙ্গিত করে সেটির উপর ফোকাস করে গিগ সাজাতে হবে । গিগের মধ্যে
অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে যে কাজ পরবর্তী সেবা ক্লায়েন্ট কিভাবে গ্রহণ করতে
পারবে এবং তার সঠিক সমাধান কিভাবে পাবে। এই সব কিছু বিষয় মাথায় রেখে যদি
ফাইভারে গিগ সাজানো যায় তাহলে সেটি আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে এবং গিগটির টাইটেল
অবশ্যই দৃষ্টিনন্দন হয়ে উঠবে ।
ক্যাটাগরি ও সাব ক্যাটাগরি নির্বাচনের মাধ্যমে গিগের প্রোমোশন
কোন কিছু করার জন্য বা কোন কাজ করার জন্য ক্যাটাগরি নির্বাচন অত্যন্ত
গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় । ফাইভারে ক্যাটাগরি নির্বাচনের মাধ্যমে গিগের
প্রোমোশন করা সম্ভব । গিগের ক্যাটাগরি নির্বাচন করার জন্য অবশ্যই ক্যাটাগরি
নির্বাচনের সময় নির্দিষ্ট একটি ক্যাটাগরি নির্বাচন করতে হবে যে ক্যাটাগরিতে বা
যেই কাজে আপনি দক্ষ ।
অবশ্যই সেই ক্যাটাগরির সাথে মিল রেখে কিছু সাব ক্যাটাগরি নির্বাচন করতে হবে যার
মাধ্যমে আপনি আপনার গিগ প্রমোশন করাতে চান । যেমন, এগুলো হতে পারে গ্রাফিক্স
ডিজাইন, ডিজিটাল মার্কেটিং, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট
এগুলো হচ্ছে এক একটা ক্যাটাগরি । এই ক্যাটাগরি গুলোর সাথে মিল রেখে অবশ্যই
আমাদের সাব ক্যাটাগরি নির্বাচন করতে হবে ।
আপনি যদি একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার হয়ে থাকেন তাহলে আপনার ক্যাটাগরির সাথে মিল
রেখে আপনাকে লোগো ডিজাইন, বিজনেস কার্ড ডিজাইন, টি-শার্ট ডিজাইন, এই ক্যাটাগরি
গুলোকে আপনি আপনার সাব ক্যাটাগরী হিসেবে সিলেক্ট করতে পারেন । তাহলে আমরা এখানে
দেখতে পাই যে ক্যাটাগরি এবং সাব ক্যাটাগরি নির্বাচনের মাধ্যমে গিগের প্রমোশন
করা অনেক বেশি সহজ ।
সঠিকভাবে কিওয়ার্ড অপটিমাইজেশন এবং রিসার্চ
ফাইবার গিগ প্রমোট করার ১৫টি টিপস এর মধ্যে অন্যতম একটি হল সঠিকভাবে কিওয়ার্ড
অপটিমাইজেশন এবং রিসার্চ করা । কিওয়ার্ড অপটিমাইজেশন এবং রিসার্চই হলো গিগ
প্রমোটের অন্যতম একটি মাধ্যম । একটি ফাইবার গিগ প্রমোট করতে অনেক বেশি সাহায্য
করে থাকে এই কিওয়ার্ড এবং অপটিমাইজেশন । সঠিকভাবে কিওয়ার্ড অপটিমাইজেশন যদি
না হয়ে থাকে তাহলে আমাদের ফাইবার গিগ ক্লাইন্ট খুব সহজে খুঁজে পাবে না বা তার
চোখের সামনে আমাদের গিগ পড়বে না ।
তাই গিগ প্রমোট করার জন্য শক্তিশালী কিওয়ার্ড ব্যবহার করতে হবে এবং শক্তিশালী
কীওয়ার্ড ব্যবহার করার জন্য অবশ্যই আমাদের কীওয়ার্ড রিসার্চ করে বের করতে হবে
। কারণ সঠিক কিওয়ার্ড অপটিমাইজেশন না করলে সেটি আমাদের গিগের ওপর অনেক খারাপ
প্রভাব ফেলবে । তাই কিওয়ার্ড রিসার্চ এর সময় বা অপটিমাইজেশনের সময় অবশ্যই
আমাদের খেয়াল রাখতে হবে যেন কিওয়ার্ড টি এসইও ফ্রেন্ডলি হয় এবং সঠিকভাবে কাজ
করে ।
গিগের ডিসক্রিপশন আকর্ষণীয় করে তোলা
গিগ প্রমোট করার জন্য অবশ্যই গিগের ডিসক্রিপশন আকর্ষণীয় করে তুলতে হবে কারণ
ক্লাইন্ট এসে যদি দেখে আমাদের ডিসক্রিপশন সাজানো নেই তাহলে ক্লায়েন্টের কাছে
আমাদের গিগটি ভালো না লাগার কারণে ক্লাইন্ট এসে অর্ডার না দিয়ে চলে যেতে পারে
। সঠিকভাবে গিগের ডিসক্রিপশন সাজাতে হবে যেন খুব সহজেই ক্লাইন্ট বুঝতে পারে
আপনি কোন বিষয়ের উপর স্কিল বা দক্ষতা অর্জন করে কাজ করেন এবং আপনি
ক্লায়েন্টের চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম কিনা ।
তাই অবশ্যই গিগ সাজানোর সময় খেয়াল রাখতে হবে ডিসক্রিপশনটা যেন আকর্ষণীয় হয়ে
ফুটে ওঠে । ডেসক্রিপশন এর মধ্যে কোন অবাঞ্ছিত বানান ভুল কিংবা সহজ বোধগম্য নয়
এমন কোন শব্দ ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে হবে । ডেসক্রিপশন আকর্ষণীয় হলে
ক্লাইন্ট দ্রুত আকৃষ্ট হয়ে গিগে অর্ডার করতে বাধ্য ।
প্যাকেজ অফারের মাধ্যমে গিগের প্রমোশন
ফাইভার গিগ প্রমোট করার ১৫ টি টিপসের মধ্যে আরও একটি হচ্ছে প্যাকেজ অফার ।
প্যাকেজ অফার এর মাধ্যমে গিগের প্রোমোশন হয়ে থাকে । গিগের প্রমোশন এর জন্য
অবশ্যই আমাদের মাঝে মধ্যে প্যাকেজ অফার এর মাধ্যমে ক্লায়েন্টের চাহিদা পূরণ
করার চেষ্টা করতে হবে । যার ফলে ক্লাইন্ট আমাদের এই অফার গ্রহণ করার জন্য
ক্লায়েন্ট প্যাকেজে অর্ডার করে যাবে ।
সেই জন্য মাঝে মধ্যে প্যাকেজ অফার দিয়ে গিগের প্রমোশন বৃদ্ধি করা সম্ভব ।
প্যাকেজ অফার হচ্ছে যেকোনো ধরনের একের অধিক কাজ একসাথে করে দেওয়ার মাধ্যমে একই
ডিজাইন কিংবা একই ধরনের কাজ তাকে প্যাকেজ অফার বলা হয়ে থাকে । তাই গিগের
প্রমোশনের জন্য আমাদের মাঝেমধ্যে প্যাকেজ অফার চালু করতে হবে । এতে দ্রুত
ফাইবার গিগ প্রমোট হবে ।
গিগের সঠিক মূল্য নির্ধারণের মাধ্যমে গিগের প্রমোশন
গিগের প্রমোশন এর সময় সঠিক মূল্য অনেকটাই আমাদের প্রমোশন বৃদ্ধিতে সহায়তা করে
থাকে । কারণ সঠিক মূল্যে কাজ করে দিলে অবশ্যই ক্লায়েন্টের মন জয় করা সম্ভব
হয়ে ওঠে । যার ফলে গিগ প্রমোশন অনেকটাই বৃদ্ধি পায় । ফাইবার গিগের প্রমোশনের
জন্য আমাদের সঠিক মূল্য নির্ধারণ করতে হলে অবশ্যই অন্য মানুষদের মূল্য দেখে
আমাদের মূল্য নির্ধারণ করতে হবে ।
কারণ অতিরিক্ত মূল্য হয়ে গেলে ক্লায়েন্ট এসে অর্ডার না দিয়ে চলে যেতে পারে
এবং অতিরিক্ত কম মূল্য নির্ধারণ করা হয়ে গেলে ক্লায়েন্ট অতি সস্তা এবং অদক্ষ
ভেবে কাজ দিতে ভয় পাবে যার ফলে তেমন একটি অর্ডার আপনাদের দিকে আসবে না তাই
অবশ্যই গিগের সঠিক মূল্য নির্ধারণ করতে ভুলবেন না । আর এই সঠিক মূল্য
নির্ধারণের মাধ্যমে আমাদের গিগে বিনামূল্যে প্রমোশন হয়ে যায় ।
গিগ প্রমোশনে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার
সোশ্যাল মিডিয়া বর্তমান যুগের ব্যবসা ও ফ্রিল্যান্সিংয়ের জন্য অত্যন্ত
গুরুত্বপূর্ণ একটি প্ল্যাটফর্ম । ফাইভারে গিগ প্রমোট করতে সোশ্যাল মিডিয়ার
সঠিক ব্যবহার আপনাকে ব্যাপকভাবে সহায়তা করতে পারে । যদি আপনি বর্তমান সময়ে
এসেও সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম গুলোর সঠিক ব্যবহার না করতে জানেন তাহলে
কখনোই আপনি ফাইভারের গিগ প্রমোট করতে সফল হতে পারবেন না । তাই আপনার সোশ্যাল
মিডিয়ার প্রোফাইল প্রফেশনাল এবং তথ্যপূর্ণ করুন ।
ফ্রিল্যান্সার হিসেবে আপনার স্কিল কাজের নমুনা এবং আপনার গিগের লিংক
অন্তর্ভুক্ত করুন । নিয়মিত এইভাবে আপনার কাজের উদাহরণ সাফল্যের গল্প এবং নতুন
নতুন গিগের আপডেট সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম গুলোতে শেয়ার করুন এটি আপনার
ফলোয়ারদের আগ্রহ বজায় রাখতে সাহায্য করবে । এছাড়াও ফেসবুক এবং লিংকডইন এর
বিভিন্ন গ্রুপে যুক্ত হন । যেখানে আপনি আপনার সম্পর্কে আলোচনা করতে পারেন এবং
সম্ভাব্য গ্রাহকদের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করতে পারেন ।
ইন্সটাগ্রাম ও টিকটক এর শর্ট ভিডিও তৈরি করুন যেখানে আপনি আপনার কাজের
প্রক্রিয়া দেখান ভিডিও কনটেন্টে বর্তমানে অত্যন্ত জনপ্রিয় এবং ইন্সটাগ্রাম ও
টিকটক এর শর্ট ভিডিও অতিদ্রুত দর্শকদের আকৃষ্ট করতে পারে। আপনার গ্রাহকদের কাছ
থেকে পাওয়া ইতিবাচক রিভিউ সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন এটি নতুন গ্রাহকদের
আস্থা বাড়াতে সাহায্য করবে এছাড়াও সোশ্যাল মিডিয়ায় বিশেষ ছাড় বা অফার
সম্পর্কে ঘোষণা দিলে এই ধরনের অফার গ্রাহকদের আকৃষ্ট করতে বাধ্য ।
ফলোয়ারদের সাথে ইন্টারেকশন করুন তাদের প্রশ্নের উত্তর দিন এবং মন্তব্যের জবাব
দিন আপনার কাস্টমার এতে খুশি হবে এবং কাস্টমার সার্ভিসের মান উন্নত হবে ।
এছাড়াও ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ইত্যাদিতে পেইড এডভার্টাইজিং ব্যবহার করুন । পেইড
এডভারটাইজিং ব্যবহার করার মাধ্যমে এটি লক্ষ্য যুক্ত দর্শকদের কাছে আপনার গিগ
পৌঁছাতে কার্যকর ।
টুইটার ও ইনস্টাগ্রাম এর প্রাসঙ্গিক হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করুন যাতে আপনার
পোস্টগুলো সহজেই ভাইরাল হয় এবং খুঁজে পাওয়া যায় । সোশ্যাল মিডিয়ার গিগ
প্রমোট করার জন্য একটি শক্তিশালী টুল । যদি সঠিকভাবে এর ব্যবহার আপনি করতে
পারেন তাহলে নতুন গ্রাহক পেতে আপনাকে খুব একটা কষ্ট করতে হবে না এবং আপনার
ব্র্যান্ডের পরিচিতি ধীরে ধীরে বাড়তে পারে । তাই দৈনিক কার্যকরী প্রচারণার
মাধ্যমে আপনার ফাইবার গিগের সাফল্য নিশ্চিত করুন ।
রেগুলার আপডেট এর মাধ্যমে গিগ প্রমোট করা
ফাইভার গিগ প্রমোট করার একটি কার্যকরী উপায় হল নিয়মিত আপডেট করা । নিয়মিত
আপডেট আপনার গিগকে তাজা ও আকর্ষণীয় রাখে যাতে নজর আকর্ষণ করে এবং ক্লায়েন্টের
কাছে বিক্রির সম্ভাবনা বাড়ায় । তাই আপনার গিগের বর্ণনাতে নতুন তথ্য এবং নতুন
নতুন কিওয়ার্ড ও পরিষ্কার নির্দেশনা যোগ করুন । যদি আপনার দক্ষতা বা অফার
পরিবর্তিত হয় তবে তা আপডেট করুন ।
নতুন দক্ষতা বা সার্ভিস যোগ হলে তাকে ফাইভার গিগে অন্তর্ভুক্ত করুন গ্রাহকদের
নতুন নতুন অফার দেওয়ার মাধ্যমে তাদের আগ্রহ বজায় রাখা সম্ভব । আপনার কাজের
নতুন উদাহরণ এবং প্রকল্প গুলো যোগ করুন । এইভাবে গ্রাহকরা আপনার সাম্প্রতিক
কাজগুলো দেখতে পাবেন । বিশেষ দিবস বা উৎসবের সময় সিজনাল অফার চালু করুন যেমন,
নববর্ষ, ঈদ, ইংরেজি নববর্ষ বা পূজোর সময় বিশেষ ডিসকাউন্ট দিতে পারেন ।
গ্রাহকদের কাছ থেকে পাওয়া ইতিবাচক ফিডব্যাক বা রিভিউ গিগের বর্ণনা যুক্তকরণ
এটি নতুন গ্রাহকদের বিশ্বাস অর্জনের একটি সহজ পথ । নিয়মিত আপডেটের মাধ্যমে
আপনার ফাইভার গিগকে তাজা এবং দৃষ্টিনন্দন রাখা সম্ভব এভাবে আপনি গ্রাহকদের
আগ্রহ বজায় রাখতে পারবেন এবং বিক্রির সম্ভাবনাও বাড়বে । নিয়মিত প্রচেষ্টা ও
কৌশল প্রয়োগের মাধ্যমে ফাইভার গিগে সাফল্য অর্জন করুন ।
আমাদের শেষ কথা
ফাইভার গিগ প্রমোট করা একটি সময় সাপেক্ষ প্রক্রিয়া তবে উপরে উল্লেখিত টিপস
গুলো যদি আপনি অনুসরণ করেন তাহলে আপনার গিগের সফলতা নিশ্চিত হতে বাধ্য । মনে
রাখবেন ধৈর্য এবং ক্রমাগত উন্নতি আপনার গিগকে সাফল্যের শীর্ষে পৌঁছাতে সহায়তা
করবে । প্রিয় বন্ধুরা আশা করি আমাদের আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনারা ফাইভার
গিগ প্রমোট করার ১৫টি টিপস সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন । এরকম আরো
তথ্যমূলক ও অনলাইন ইনকাম রিলেটেড আর্টিকেল পড়তে চাইলে আমাদের ওয়েবসাইটটি
নিয়মিত ভিজিট করতে পারেন । এতক্ষন আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url